বরিশাল ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
জোয়ারের পানিতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন ফকির।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লালুয়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন ফকির গত ২৯ জুলাই বিয়ে করেন। তার শ্বশুরবাড়ি রাঙ্গাবালী উপজেলার গাববুনিয়া গ্রামে। ২০ আগস্ট তিনি নববধূকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। ২২ আগস্ট দুপুরে জোয়ারের পানির মধ্যেই গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়। জোয়ারের পানিতে যখন চারদিক থই থই করছে, তখন তার বাড়ির উঠানে চেয়ার পেতে বর-কনেকে হলুদ দেয়া হয়। এতে স্বজনেরা অংশ নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহিউদ্দিন ফকির বলেন, আমাদের বিয়ের আয়োজনটা দেশব্যাপী আলোচিত হয়েছে। আমরা নদীপাড়ের বাসিন্দা, পানির সঙ্গে আমাদের বসবাস। বন্যায় বাড়িতে পানি থাকা স্বাভাবিক। এজন্য তো বিয়ে বন্ধ থাকতে পারে না। তাই জোয়ারের পানির মধ্যে ২২ আগস্ট গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই দিন দুপুরে স্কুলের পাশে আমার বোন জামাইয়ের বাড়িতে ৫০০ মানুষের উপস্থিতিতে বৌভাতের অনুষ্ঠান করা হয়।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমি ও আমার স্ত্রী আমাদের বাড়ি আছি। ফেসবুকে আমাদের বিয়ের ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হওয়ায় ভালো লাগছে। তবে আয়োজনটা আরও বড় করতে পারলে আরও ভালো লাগতো।
জোয়ারের পানির মধ্যে ব্যতিক্রমী হলুদ দেয়ার আয়োজনকে সবার কাছে আকৃষ্ট করেছে। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করা শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহিম খলিল। তার মন্তব্য ছিল, আমাদের সুখ-শান্তি কিছুই নাই। একটি জনপদ সব সময় পানিতে ডুবে থাকে, আর তা নিয়ে কারও মাথা ব্যাথা নেই। এটা হতে পারে? জীবনকে তো থামিয়ে রাখা যাবেনা। জীবন চলবেই। যার কারণে এরকম একটি আয়োজন করতে হয়েছে। এটা সুখের সাথে কষ্টের চিত্র বহন করে।
মহিউদ্দিনের বাবা আবদুল বারেক ফকির বলেন, কী করমু কন? ঘরে পানি, বাইরে পানি। নাইম্যা কোথাও যে যামু, হেই পরিস্থিতি নাই। বাধ্য হইয়াই বাড়ির উডানে হলুদের আয়োজন করতে হইছে আমাগো।