১৫ আগস্ট যেন আরেকটি কারবালা: প্রধানমন্ত্রী - The Barisal

১৫ আগস্ট যেন আরেকটি কারবালা: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : আগস্ট ৩০ ২০২০, ০১:৩৪
  • 728 বার পঠিত
১৫ আগস্ট যেন আরেকটি কারবালা: প্রধানমন্ত্রী
সংবাদটি শেয়ার করুন....

অনলাইন ডেস্ক।। কারবালায় যেভাবে নির্মম হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন শেখ হাসিনা।

হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (র.) ও তাঁর পরিবারবর্গ কারবালার প্রান্তরে শাহাদত বরণ করেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তাঁদের এ আত্মত্যাগ মুসলিম উম্মাহর জন্য এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরের আলো ফোটার আগেই বাঙালি জাতিকে মুক্তির আলো দেখানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল চক্রান্তকারী কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য। ঘাতকেরা সেদিন নারী ও শিশুদেরও রেহাই দেয়নি, যা ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যদি ১৫ আগস্টের দিকে তাকাই…আজকে আপনারা জানেন, আজ আশুরার দিন। সেদিন হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নাতি ইমাম হোসেনকে কারবালার ময়দানে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ তারা ন্যায়ের পথে ছিল। কিন্তু কারবালায় নারী-শিশুদের হত্যা করা হয় নাই। কিন্তু ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি বা মিন্টু রোডের বাড়িতে নারী-শিশুরা রক্ষা পায়নি। ১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে যেন এই হত্যাকাণ্ডের এক অদ্ভূত মিল রয়ে গেছে।’

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্র তার সম্ভাবনা হারিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন, মানুষকে উন্নত জীবন দিতে চেয়েছিলেন-এটাই কি তার অপরাধ ছিল?’

‘পাকিস্তান নামে যে রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছিল, সে রাষ্ট্রটি নির্মাণের প্রতিও তার অবদান ছিল। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছিলেন। সে সময় তাদের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই দেখা গেছে, বাঙালি শোষিত-নির্যাতিত-বঞ্চিত। বাংলাদেশের উপার্জিত অর্থ দিয়েই পশ্চিম পাকিস্তানের মরুভূমিতে ফুল ফোটানো হচ্ছে। আর আমাদের দেশের মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্র-বঞ্চিত-শোষিত থেকে যাচ্ছে’-যোগ করেন সরকারপ্রধান।

টানা দুই বছর বাবাকে কাছে না পেয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমাদের জীবনে আমরা একটানা দুই বছর বাবাকে কাছে পাইনি। যদি হিসাব করে দেখি একটা বছর বাদ গেলে তার পরের বছরই তিনি কারাগারে। ঘরে না যত দেখা হয়েছে তার চেয়ে বেশি জেলগেটে দেখা করতে হয়েছে। তিনি তার জীবনে এত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন কেন? বাংলাদেশের জনগণের জন্য।’

সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনও নীতির সঙ্গে আপোস করেননি, সবসময় মানুষের জন্য মানুষের স্বার্থে কাজ করেছেন।

অনুষ্ঠানে আদর্শভিত্তিক সংগঠন গড়ে তুলতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আন্দোলনের নামে অরাজকতার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বরিশালে শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পারাজাপুরে একই সময়ে বিএনপি ও যুবদলের দুই গ্রুপবরখাস্ত হচ্ছেন নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কহাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমিরপ্রাথমিকে আসছে বড় নিয়োগ, নেওয়া হবে ১৭ হাজার শিহাসিনার পক্ষে মামলায় লড়তে জেড আই খান পান্নার টনক নড়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষের / একসংগে ৪৬ ট্রসাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন, নির্যাতনও বাড়ছের‍্যাংকিংয়ে ফের দশে নেমে গেল বাংলাদেশ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করল ইসলামী আন্দোলজনগণ যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে: তআমি ইউনূস-হাসিনা দ্বন্দ্বের বলি: টিউলিপফিরছে ‘না’ ভোট