বরিশাল ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
ঘটনাটি কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া চালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ।অভিযোগ এসএসসি উত্তীর্ণদের প্রশংসাপত্র ও মার্কশিট দিতে টাকা নেয়ার। স্কুল কর্তৃপক্ষ এসব কাগজপত্র দিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নিচ্ছিলেন। সরকারি কোন নির্দেশনা না থাকলেও ১০১ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্ধলাখ টাকা আদায় করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত স্কুলের অফিস সহকারীকে জরিমানা করেছে। এছাড়া অতিরিক্ত টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সোশাল মিডিয়া নিন্দায় মূখর হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারীরা। স্কুল কর্তপক্ষের নির্দেশ ছাড়া স্কুলে বসে একজন অফিস সহকারী একটি বাড়তি টাকা নেয়ার ক্ষমতা রাখেন না। অথচ প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক মন্ডলী স্কুলে থাকা সত্ত্বেও অফিস সহকারীকে জরিমানা করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি জিয়াউদ্দিন সরদার। তিনি বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাজ, এমনকি ক্লাশও নিতে হয় অফিস সহকারীদের। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের যাবতীয় অপকর্মের দায়ভার নিতে হয় অফিস সহকারীকে। স্কুলের পরিচালনা বিধিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, আয়ন বায়ন অফিসার প্রধান শিক্ষক। তিনি অনতি বিলম্বে জরিমানা প্রত্যাহার করে অফিস সহকারীকে দায়মুক্ত করার দাবি জানান। । বিষয়টি দুদককে তদন্ত করে প্রকৃত নির্দেশ দাতাকে চিহ্নিত করার অনুরোধ জানান। তৃতীয় শ্রেণী কর্মপরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মন্টু, সহ সভাপতি মোস্তফাভূইয়া,তারকুর রহমান, কার্তিক সরকার, যুগ্ম সম্পাদক ঈছা তালুকদার, কামরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদসহ নেতৃবৃন্দ এধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
সোশাল মিডিয়ায় ঢাকার সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে তার দেয়া পোস্টে এধরনের কাজের জন্য সংশ্লিস্ট বিচারকের প্রতি ধিক্কার জানান।শাহজান হুদা নামের আর একজন জরিমানার তীব্র জানান। জানা গেছে বিষয়টি নিয়ে তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের উর্ধতন কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট স্কুলে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। সভাপতি রফিকুল ইসলাম মন্টু জানান, জরিমানা প্রত্যাহার না হলে আমরা রাজপথে আন্দোলনের কর্মসূচী দিতে বাধ্য হব।