বরিশাল ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
পিরোজপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল ও তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীনকে নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আউয়াল দম্পতির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান।
এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, তিন মামলায় তাদের জামিন কেন বাতিল করা হবে না এই মর্মে তিন সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গত ৭ জানুয়ারি পিরোজপুর আদালতে হাজির হয়ে আট সপ্তাহের জামিন নেন আউয়াল দম্পতি। ওই জামিন শেষ হলে গত ৩ মার্চ তাঁরা জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নানের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাঁদের আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন। ওই আদেশের পরপরই ওই জেলা জজকে বদলি করা হয়। এর পর ওইদিন বিকেলেই ফের জামিন আবেদন করেন আউয়াল দম্পতি। ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ (যুগ্ম জেলা জজ) নাহিদ নাসরিন তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। ওই ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই জামিন বাতিল চেয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
গত বছর ৩০ ডিসেম্বর দুদক আউয়ালের বিরুদ্ধে তিন মামলা করে। একটি মামলায় আউয়ালের স্ত্রীকে আসামি করা হয়। মামলায় পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার সামনে ও উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনের ১৩ শতাংশ সরকারি খাস জমি নিজের দখল করে দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে তা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।