বরিশাল ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
অমৃতলাল দে মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক, খেয়ালী গ্রæপ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের কোষাধ্যক্ষ, লেখক-গবেষক, অধ্যাপক দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী পিতা বরিশাল নাট্য নিকেতনের প্রয়াত সদস্য, সুকণ্ঠের অধিকারী, বিশিষ্ট নাট্যশিল্পি নিত্যরঞ্জন চক্রবর্ত্তীর ষোড়শ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। নিতাই চক্রবর্তী হিসেবে পরিচিত এই শিল্পি ১৯৩০সালে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের দেওপাশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তরুণ বয়স থেকেই যাত্রাভিনয়ের সাথে জড়িয়ে পড়েন। ঝালকাঠিতে যৌবন কাটলেও জীবন-জীবিকার তাগিদে স্বাধীনতাত্তোর কাল থেকে হিসাবরক্ষক হিসেবে তিনি বরিশালের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। পাশাপাশি নাট্যচর্চায় ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। তিনি নাট্যগুরু মালেক খানের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। সঙ্গে পান গোলাম মোস্তফা, রাজ, আরব আলী মিয়া, সৈয়দ আলতাফ হোসেন, রুস্তুম আলী, এস.আলী মোহাম্মদ, আক্কাস হোসেন, জ্যোতিপ্রকাশ রায় হিটলার, হাবিবুল হক পলু, মন্টু সাহাসহ প্রমূখ খ্যাতিমান অভিনেতাকে। ঝালকাঠির নট্টকোম্পানির হয়েও তিনি বেশ কয়েকটি যাত্রাপালায় অভিনয় করেন। বরিশালে আসার পর থেকেই তিনি নাট্য নিকেতনের সদস্য হন। তার অভিনীত অসংখ্য যাত্রাপালার মধ্যে নবাব সিরাজউদ্দৌলা, কোহিনূর, শাহজাহান, আওরঙ্গজেব, দেবদাস, মেঘনাদবধ, নিহত গোলাপ, পরশমণি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া তিনি অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেন। ২০০৩ সালের ১০ডিসেম্বর রাত সাড়ে এগারোটায় নির্লোভ, নিরহঙ্কারী, সদালাপি নাট্যশিল্পি নিত্যরঞ্জন চক্রবর্ত্তী স্ত্রী, দুইকন্যা ও এক ছেলেকে রেখে পরলোক গমন করেন এবং ঝালকাঠির নিজ বাড়িতে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। প্রয়াত শিল্পি নিত্যরঞ্জন চক্রবর্ত্তীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পারিবারিকভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।