বরিশাল ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পটুয়াখালী সদর এর উদ্যোগে ২০২৯-২০২০ অর্থবছরে খরিপ-১ মৌসুমে পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় কৃষক মাঠ স্কুল (সবজি) এর মাঠ দিবস অনষ্ঠিত হয়।
০১ অক্টোবর বৃহষ্পতিবার বিকাল ৪টায় সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত এই মাঠদিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খামারবাড়ি, পটুয়াখালী’র উপপরিচালক কৃষিবিদ হৃদয়েশ্বর দত্ত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হক জোমাদ্দার। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মোঃ জাকির হোসেন তালুকদার, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মার্জিন আরা মুক্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ধীমান মজুমদার, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আব্দুল বারেক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, পুকুরজনা শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ বজলুর রহমান, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহিরুল হক খান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ম. শেখ ফরিদ, পশ্চিম শারিকখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ লতিফ খন্দকার, প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত কৃষক আঃ মালেক গাজী, কৃষক নাসির উদ্দিন, কৃষক সাবেক ইউপি মেম্বর মিজানুর রহমান তালুকদার, কৃষানী সাবেক ইউপি মেম্বর জাহানারা বেগম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃযিবিদ হৃদয়েশ্বর দত্ত বলেন, নিরাপদ ফসল উৎপাদন এখন সময়ের দাবি। তাই এই এফএফএস এ আইপিএম সম্পর্কে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কৃষকরা যদি তাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান বাস্তবে অনুশীলন করে তাহলে অন্য কৃষকরাও আইপিএম পদ্ধতিতে ফসল আবাদে আগ্রহী হবে যা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপদ ফসলের নিশ্চয়তা প্রদান করবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মার্জিন আরা মুক্তা বলেন এফএফএস মাধ্যমে ২৫ জন কৃষক-কৃষাণীকে পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে ফসল বিশেষ করে সবজি উৎপাদনের বিষয়ে ১৪ সপ্তাহ ব্যাপী প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়েছে। তিনি উক্ত কৃষক-কৃষানীবৃন্দকে ক্লাব গঠনের জন্য বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করেন। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, পুকুরজনা শাখার ব্যবস্থাপক কৃষকদের নিরাপদ ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ৪% সুদে লোন নেবার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার কথা বলেন। সভাপতির বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন- সরকারের এ ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত কৃষকদের লব্ধ জ্ঞানকে অন্য কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেবার বিষয়ে জোর দেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ২৫ জন কৃষক-কৃষাণীর হাতে সনদপত্র ও নগদ অর্থ তুলে দেন।