বরিশাল ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল নগরের অমৃত লাল দে সড়কের নিজ বাসা থেকে গৃহবধূ তিশা কর্মকারের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী বাপ্পী কর্মকারকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে হত্যার আলামত পেলেও পরিবারের সদস্যরা বলছেন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিশা।
তিশা পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি এলাকার বাঁশতলা গ্রামের সুকদেব কর্মকারের মেয়ে। গত তিন বছর আগে অমৃত লাল দে সড়কের বাসিন্দা রবিন কর্মকারের ছেলে বাপ্পী কর্মকারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) দিনগত রাতে নগরের অমৃত লাল দে সড়কের কর্মকার ভবনের তৃতীয় তলার ভাড়া বাসার নিজ কক্ষে তিশা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে দাবি স্বজনদের। তবে রাত থেকে বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি করলেও শনিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরের দিকে বিষয়টি জানাজানি হয়।
গৃহবধূ তিশার ননদ রাখি কর্মকার জানান, বাপ্পী দাদা শুক্রবার রাতে বাথরুমে যান। সেখান থেকে ফিরে এসে দেখতে পান বৌদি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে স্থানীয়রা বলছে, বাপ্পীর কারণে তাদের পরিবারে ঝগড়া লেগেই থাকতো।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আল মামুন জানান, দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. রাসেল সাংবাদিকদের জানান, মৃত গৃহবধূর হাতে ও গলায় দাগ রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এটা হত্যা না আত্মহত্যা। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী বাপ্পীকে আটক করা হয়েছে।