বরিশাল ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধি নিরাপদ রাখতে এবারও ইলিশ আহরণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আগামী ১৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এ নিষেধাজ্ঞা, যা চলবে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যেই জেলেদের মাছ ধরার সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। তারা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ কাজ করছে বলেও অভিযোগ।
একটি নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে দক্ষিণ রাকুদিয়া এলাকায় মৌসুমী জেলেরা একটি সভা করে। ওই সভায় সিদ্বান্ত হয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নদীতে ইলিশ মাছ ধরার জন্য প্রতিদিন ছোট নৌকা প্রতি এক হাজার টাকা এবং বড় নৌকাকে দুই হাজার টাকা চাঁদা দেওয়া হবে। যারা এই চাঁদা দিবেন, তারাই নদীতে নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করার সুযোগ পাবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সন্ধ্যা, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় সন্ধ্যা ও সুগন্ধ্যা নদীর সংযোগ স্থল দক্ষিণ রাকুদিয়ার কমলাপুর নামক স্থান থেকে দোয়ারিকা সেতুর উত্তর অংশ ইলিশ মাছের অভায়রণ্য হিসেবে পরিচিত। নিষেধাজ্ঞার সময় এখানে ইলিশ শিকারে অংশ নিতে কমপক্ষে ৭০টি ডিঙি নৌকা প্রস্তুত করে একটি ঝোপের পাশে ডোবার পানিতে লুকিয়ে রেখেছে। নদী সংলগ্ন এলাকায় এলাকায় চলছে নৌকা মেরামত ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বাধার কাজ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত বছর টাকার বিনিময়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করার সুযোগ করে দিয়েছিল এলাকার একটি চক্র। এ বছরও মাছ শিকার করার সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে চাঁদা তোলার প্রক্রিয়া চলছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান বলেছেন, এ বছর মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে অভিযানে থাকবেন কঠোর নিরাপত্তা। প্রশাসনের সব সংস্থাকে ইলিশ রক্ষায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে মনিটরিং টিম, কন্ট্রোল রুম করা হচ্ছে। মৎস্যজীবী, ট্রলার মালিক ও জেলেদের সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় বৃহৎ যে কর্মযজ্ঞ হবে তা বাস্তবায়নে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কালের কন্ঠ