বরিশাল ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের সময় ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় বোমা হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আহত করা, পাকা রাস্তা কেটে বিচ্ছিন্ন ও সন্ত্রাস ও নাশকতা মামলায় সোমবার গৌরনদী উপজেলার ২৭ বিএনপি নেতাকর্মীর কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। দীর্ঘদিন আসামিরা পলাতক থাকার পরে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে বরিশাল স্পেশাল ট্রাইবুনাল নম্বর-১ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক (বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক) মো. রফিকুল ইসলাম জামিনা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
স্থানীয় ও গৌরনদী মডেল থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে গৌরনদী হোসনাবাদ সড়কের স্টীমারঘাট চকিদার বাড়ি এলাকায় রাস্তা কেটে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা। যাওয়ার সময় ৫/৭টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপি ও ধানের শীষের পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এ ঘটনায় পরের দিন ৩ নভেম্বর সরিকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুুিক্তযোদ্ধা মো. মেজবা উদ্দিন আকন বাদী হয়ে ৫০ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২শতাধিক আসামি করে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে অসামিরা পলাতক থাকে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সরিকল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বিপ্লব, প্রচার সম্পাদক মো. মজনু খান, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সুজন বেপারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্কুল শিক্ষক মো. তৈয়ব আলী আকন, ১নং ওয়ার্ড সভাপতি আনিচ হাওলাদার, ৪নং ওয়ার্ড সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. বাবুল হাওলাদার, ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. জামাল হাওলাদার, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ মৃধা, সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনের চাচাতো ভাই সদস্য পান্নু সরদারসহ ২৭ আসামি বরিশাল স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল নম্বর-১ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক (বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক) মো. রফিকুল ইসলাম জামিনা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।