বরিশাল ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আসামি শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে এ বিষয়ে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। গত ১০ অক্টোবর ঢাকার সাভার থেকে শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মইনুল হাসান জানান, ২০১৭ সালের ২ আগস্ট গলাচিপা আমখোলা ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামের নির্জন ঘরে বীভৎস অবস্থায় ওই তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। নিহত দেলোয়ার মোল্লা (৬৫), তার স্ত্রী পারভীন বেগম (৬৫) এবং পালিত কন্যা কাজলী আক্তার (১৫) কে বসত ঘরে অজ্ঞাতনামা হত্যাকারীরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ইদ্রিস মোল্লা বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট অজ্ঞাত নামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় দেলোয়ার মোল্লার বোন পিয়ারা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা ১ থেকে ১৫ জন আসামি করে গলাচিপা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি সংযুক্ত করে পুলিশকে তদন্ত করার জন্য আদেশ দেন। গত ৯ অক্টোবর ঢাকার পল্লবী থানাধীন বাউনিয়াবাঁধ এলাকা থেকে মোহাম্মদ আবু রায়হানের কাছ থেকে নিহত কাজলী আক্তারের খোয়া যাওয়া নোকিয়া ১২৮০ মডেলের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আবু রায়হান জানান, তার বাড়ী বরিশাল জেলার হিজলা থানা এলাকায়। তার ফুপুর ননদের স্বামী শহীদ তাকে ফোনটি দিয়েছিল।
পরে মামলার তদন্তকারী অফিসার গলাচিপা থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে সাভার থেকে গত ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় একটি ভাড়া বাসা থেকে শহিদকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহিদ হত্যার বিষয় স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গ্রেফতার শহিদুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হবে।