ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ - The Barisal

ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

  • আপডেট টাইম : অক্টোবর ১৫ ২০২০, ০৬:০৫
  • 713 বার পঠিত
ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ধর্ষণ প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ এ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমসাময়িককালে সামাজিক এই ব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইদানীং ধর্ষণটা ব্যাপকভাবে হচ্ছে। এবং প্রচারও হচ্ছে। এটার যত বেশি প্রচার হয়, প্রাদুর্ভাবটাও তত বাড়ে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) ৭০তম বনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাভারের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা (ধর্ষণ) রোধ করার ব্যাপক ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে। আর সব থেকে বড় কথা মানুষের মাঝেও জনসচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার।’
বিজ্ঞাপন

সরকার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আজকের যাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলেন, আপনারাই থাকবেন আগামী দিনের কর্ণধার। আপনারাই দেশটাকে পরিচালনা করে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আজকের যারা নতুন প্রজন্ম, তারাই ৪১-এর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়েই আমাদের কর্মচারীরা দেশ ও জনগণের সেবা করবে, সেটাই আমার লক্ষ্য।’
বিজ্ঞাপন

নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করুন।’

’৭৫–পরবর্তী সময়ে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই, কোনো ধরনের অন্যায়-অবিচার যেন না হয়। মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কারণ আমি জানি যে বিচার না পেলে কী কষ্ট। আমার বাবা-মা, ভাই, ভ্রাতৃবধূ তাঁদের যখন হত্যা করা হয়, খুনিদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল। আমার বিচার চাওয়ার কোনো অধিকার ছিল না।

আমি কেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের কারোরই বিচার চাওয়ার কোনো অধিকার ছিল না।’

প্রধানমন্ত্রী বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা-মা, ভাই মারা গেছে, আমি একটা মামলাও করতে পারিনি। আমার সেই অধিকারটাও ছিল না। এই সংস্কৃতি বাংলাদেশে যেন আর না থাকে।’

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আন্দোলনের নামে অরাজকতার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বরিশালে শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পারাজাপুরে একই সময়ে বিএনপি ও যুবদলের দুই গ্রুপবরখাস্ত হচ্ছেন নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কহাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমিরপ্রাথমিকে আসছে বড় নিয়োগ, নেওয়া হবে ১৭ হাজার শিহাসিনার পক্ষে মামলায় লড়তে জেড আই খান পান্নার টনক নড়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষের / একসংগে ৪৬ ট্রসাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন, নির্যাতনও বাড়ছের‍্যাংকিংয়ে ফের দশে নেমে গেল বাংলাদেশ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করল ইসলামী আন্দোলজনগণ যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে: তআমি ইউনূস-হাসিনা দ্বন্দ্বের বলি: টিউলিপফিরছে ‘না’ ভোট