বরিশাল ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম এক দর্জিকে চপেটাঘাত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে বরগুনা শহরের বঙ্গবন্ধু রোডের গ্রামীণ বস্ত্রালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে।
গ্রামীণ বস্ত্রালয়ের মালিক নজরুল ইসলামের কাছ থেকে জনা গেছে, তিনি বরগুনা শহরের গ্রামীণ বস্ত্রালয়ের মালিক। তার দোকানে দীর্ঘদিন থেকে সেলিম খান দর্জির কাজ করে আসছেন। ঘটনার দিন ওসি তারিকুল ইসলাম বালিশ তৈরিকে কেন্দ্র করে পুলিশের একজন এসআইকে সাথে নিয়ে ওই রোডের পশ্চিম প্রান্ত থেকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল দিতে দিতে আমার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ান।
বরগুনা শহরের টেইলার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেলিম খানকে চপেটাঘাত করে তার চেয়ার ছুড়ে এবং সেলাই মেশিন ও সামনে রাখা মোটরসাইকেল ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ওসি। এ সময় তিনি রুদ্রমূর্তি ধারণ করে আমাকেও জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এ ঘটনার সময় তিনি (ওসি) নিজেকে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ করে ওসিগিরি করতে এসেছি বলে দাবি করেন। এরপর কে কে দোকানদারী করে সেটাও আমি দেখে নেবো বলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরের সকল বস্ত্র ব্যবসায়ী ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনবেন বলে বরগুনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর কবীরের দেয়া আশ্বাসে দীর্ঘ ১ ঘণ্টা পরে আবার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো শহরে এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশ ও ভীতির সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলামের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার সরকারি নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।- বাংলাদেশ জার্নাল