বরিশাল ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ শুক্রবারসহ আরও কয়েক দিন এই বৃষ্টি চলতে পারে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকা, খুলনা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রাতভর দেশের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। আজ সকালে বরিশালে অঝোরে বৃষ্টি ঝরে। বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি জমে যায়।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং উপকূলকে ৪ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই নিম্নচাপের কারণে এখন বৃষ্টি হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাইমেট প্রেডিকশন সেন্টারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটির বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে প্রচুর বৃষ্টি ঝরিয়ে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় প্রবেশ শুরু করার কথা। আজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে; বেলা ১১টা থেকে ১টার মধ্যে বৃহত্তর ফরিদপুর-মাদারীপুর-গোপালগঞ্জ জেলার ওপরে; বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতে; রাত ১০টা থেকে শনিবার রাত ২টা পর্যন্ত নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং রাত ৩টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে গভীর নিম্নচাপের ভারী বৃষ্টিপাতের অংশ অতিক্রম করতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থাগুলো বলছে, দেশের উপকূলীয় দ্বীপ ও চরগুলোতে রেকর্ড বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে সন্দ্বীপ, হাতিয়া, ভাসানচরে শনিবার ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোর মধ্যে খুলনা ও বরিশালে ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। আর রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। এই ভারী বৃষ্টি শহরে জলাবদ্ধতা, গ্রামে ফসলের ক্ষতি এবং নদীতীরবর্তী এলাকায় বন্যা নিয়ে আসতে পারে।