বরিশাল ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি,১৬ নভেম্বর।। সুপার সাইক্লোন সিডরের ভয়াবহ সেই তান্ডবের কথা আজও ভোলেনি দখিণের মানুষ। রবিবার রাতে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতের বালিয়ারীতে সিডরে নিহতদের স্মরনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) এর আয়োজন করে। এ সময় সিডরে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মোনাজাত হয়। এতে আগত পর্যটকসহ ব্যবসায়ি ও স্থানীয়রা অংশগ্রহন করেন।
জানা গেছে, ১৩ বছর আগে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে দেশের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানে ভয়াবহ প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডর। ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাসের সঙ্গে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার পানি আঘাত হেনেছিল। মাত্র আধা ঘণ্টার তাণ্ডবে লণ্ড ভণ্ড হয়ে যায় উপকূলের প্রান্তিক জনপদ। এসময় মৃত্যু হয় ৯৪ জন। আহত হয়েছে এক হাজার ৭৮ জন। নিখোঁজ রয়েছে এখনও ৮ জেলে। ওই দিনের ভয়াবহতা মনে পড়লে এখনো আঁতকে ওঠেন উপকূলবাসী।
ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক’র ভাইস প্রেসিডেন্ট লৎফুল হাসান রানা বলেন, তীব্র ঝড় আর জলোচ্ছ্বাসে কেড়ে নেয় উপকূলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠির বাড়ি-ঘর, গাছপালা, গৃহপালিত হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সড়ক, বিদ্যুৎ সহ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। সেদিনে স্মৃতি এ পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ উপকূলবাসী ভুলতে পারবেনা।
ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক’র প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ২০০৭ সালের ভয়াল সিডরে প্রায়তদের স্মরণে টোয়াক’র উদ্যোগে দোয়া ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। প্রতি বছরই কুয়াকাটার সৈকতে মোমবাতি প্রজ্বলন ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয় বলে তিনি জানান।