গলাচিপায় এক সন্তানের জননীর অসহায় বসবাস - The Barisal

গলাচিপায় এক সন্তানের জননীর অসহায় বসবাস

  • আপডেট টাইম : নভেম্বর ১৭ ২০২০, ০৫:৪২
  • 744 বার পঠিত
গলাচিপায় এক সন্তানের জননীর অসহায় বসবাস
সংবাদটি শেয়ার করুন....

মো. নাসির উদ্দিন প্যাদা, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক সন্তানের জননী অসহায় হয়ে পড়েছেন। অসহায় জননী হচ্ছেন তানজিনা বেগম (২৫)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ইসমাইল খানের বাড়িতে। তানজিলা বেগম জানান, আমার জন্মের পরে মা বাবার অভিমানে বিচ্ছেদের ফলে মা অন্যত্র বিবাহ বসেন এবং বাবাও অন্য জায়গায় বিবাহ করে সেখানেই থাকেন। আমি অসহায় হয়ে মামা বাড়িতে থেকেই বড় হয়েছি। আমাকে মামা, মামিরা বিবাহ দেন। আমার দাম্পত্য জীবনে ৪ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ওর নাম মোসা. দোলা। আমার স্বামী ঢাকাতে গার্মেন্টেসে চাকুরি করে এবং সেখানে আরেকটি বিবাহ করে ঢাকাতেই থাকে। বাবা, মা, স্বামী পাশে না থাকায় আমি এখন অসহায় জীবন যাপন করছি। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন নারীরা এ দেশের বোঝা নয়। তাই তার কথাকে ভেবে স্বপ্নকে সত্যি করে নিজের কাছে টাকা না থাকায় পাশের বাড়ি থেকে একটি কোদাল নিয়ে সরকারী খাস জমিতে বেগুন, টমেটো, মরিচ, ধনিয়া, লাউ প্রভৃতি গাছ লাগিয়ে কিছু ফসল তৈরি করে কোন রকম বেচে আছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় সন্ধ্যা হলেই পরের ঘরে ঘুমানোর জন্য আশ্রয় নিতে হয়। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীর কাছে আমার দাবি সরকারীভাবে আমাকে একটি ঘর আর সরকারী জায়গাটি আমার নামে ডিসিআর করে দিলে সন্তান নিয়ে শেষ জীবনটুকু পার করে দিতে পারতাম। এ বিষয়ে মেয়ের মামা দেলোয়ার সিকদার জানান, আমার সংসারে ৮ জন লোক খায় এক আমার উপরে। আমি একজন রিক্সা চালক। আমার সংসার চালাতেই কষ্ট হচ্ছে তার উপর ভাগ্নি ও তার মেয়েকে চালাতে হচ্ছে। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে গোলখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মনির মীর বলেন, আসলেই মেয়েটি অসহায়। সরকারীভাবে একটি ঘর পেলে ওর জীবনে আবার আশার আলো দেখতে পারে। ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, অসহায় মেয়েটির কথা আমাকে কয়েকদিন আগে বলা হয়েছে। সরকারীভাবে কোন অনুদান আসলে ওকে দেয়া হবে। গোলখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. খালেক খান বলেন, এই মেয়েটা বাবা মার কাছে কিছুই পায়নি। মামা বাড়ি থেকে বড় হয়েছে। মামা মামি ওকে বিবাহ দিয়েছে কিন্তু স্বামী তার কোন খোঁজ খবর না নেওয়ায় এখন মামার কাছে থাকে। সরকারীভাবে একটি ঘরে পেলে মেয়েটি নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারত। গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার বলেন, মেয়েটির কথা শুনেছি, দেখব।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আন্দোলনের নামে অরাজকতার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বরিশালে শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পারাজাপুরে একই সময়ে বিএনপি ও যুবদলের দুই গ্রুপবরখাস্ত হচ্ছেন নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কহাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমিরপ্রাথমিকে আসছে বড় নিয়োগ, নেওয়া হবে ১৭ হাজার শিহাসিনার পক্ষে মামলায় লড়তে জেড আই খান পান্নার টনক নড়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষের / একসংগে ৪৬ ট্রসাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন, নির্যাতনও বাড়ছের‍্যাংকিংয়ে ফের দশে নেমে গেল বাংলাদেশ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করল ইসলামী আন্দোলজনগণ যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে: তআমি ইউনূস-হাসিনা দ্বন্দ্বের বলি: টিউলিপফিরছে ‘না’ ভোট