বরিশাল ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
বিশেষ প্রতিনিধি,
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দেশরত্ন শেখ হাসিনা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনে বাবুলের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি হওয়ার পরে কলেজটির জন্মলগ্নে নিয়োগকৃতদের বাদ দিয়ে নতুনদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। টাকা দিয়ে প্রায় ৫ বছর বিনা বেতনে চাকরি করার পরে শিক্ষকদের বাদ দেওয়ায় বিষয়টি অমানবিক মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসি। এ অবস্থায় প্রকৃত নিয়োগকৃতদের বিনা ঘুষে চাকরি প্রদানের দাবি করা হয়।
কলেজটি জাতীয়করণের ঘোষণার সাথে সাথেই মানবেতর জীবন যাপন করা শিক্ষকদের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। আবার মুহুর্তেই সে হাসি ¤øান হয়ে যায়। ২০১৮ সালের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা উপেক্ষা করে আগের নিয়োগ পাওয়া কয়েকজন শিক্ষককে বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে অধ্যক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের কয়েকজন কর্মরত প্রভাষক অভিযোগ করে বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন জাতীয়করণের আগে কলেজটিতে ১৭ জন প্রভাষক নিয়োগ দিয়েছিলেন। এ সময় নিয়োগ দেয়া শিক্ষকদের কাছ থেকে ১০ লাখ করে টাকা নিয়েছেন। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন বিনা বেতনে শিক্ষকরা পাঠদান করে আসছিলেন। জাতীয়করণের অনুমোদন ঘোষণার পর থেকেই নতুন করে আবারও নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে উঠে অধ্যক্ষ। দীর্ঘদিন বিনা বেতনে পাঠদান করা প্রভাষকদের অনেককে বাদ দিয়ে নতুন করে আবারও ১৫-২০ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রভাষক নিয়োগ দিচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, ২০১৫ সালের দিকে ১৭ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে কাগজপত্র তৈরি করলেও বর্তমানে সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে অবৈধভাবে আরো সাত জনসহ মোট ২৪ জন প্রভাষককে নিয়োগ দেখায়। এছাড়াও আগের নিয়োগ পাওয়া কয়েকজন প্রভাষকদের কাজপত্র পাল্টে মোটা অর্থের বিনিময়ে সরকারি চাকুরী করা অনেককে নিয়োগ দিয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ভুক্তভোগী প্রভাষকদের প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে আসছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার সংসাবাদ এলাকায় দেশরতœ শেখ হাসিনা মহাবিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। এরপর ২০১৫ সালের ২০ মে বিভিন্ন পদে একটি জাতীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত করা হয়। পরে ওই বছর ১৭ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচিতদের নিয়োগদানের সুপারিশ করেন নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড।
এব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বাবুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারি বিধি মেনেই প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রভাষকের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উল্লেখ, চলতি ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট অনুমোদিত যে ২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে দেশরত্ন শেখ হাসিনা মহাবিদ্যালয়টিও রয়েছে।