বরিশাল ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের পায়রা নদীতে নির্মানাধীন সেতু এলাকায় এক বাঙালি শ্রমিককে মারধর করার জেরে চীনাদের গাড়ি ও তাদের আবাসিক ব্যারাকে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে লেবুখালী সেতু এলাকায় চীনা ও বাঙালি শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।আহত শ্রমিক মো. জুবায়েরকে (৩০) বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত জুবায়ের বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণাধীন লেবুখালী সেতুতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন।
নির্মানাধীন লেবুখালী সেতু প্রকল্পের কয়েকজন বাঙালি নির্মান শ্রমিক জানান, নির্মানাধীন লেবুখালী সেতুতে সহাস্রাধিক বাঙালি শ্রমিক কাজ করেন। আর এই প্রকল্পে চীনা শ্রমিকের সংখ্যাও অর্ধশতাধিক। সন্ধ্যার পর জুবায়ের নামের এক শ্রমিক কাজ করছিলেন। তবে তার মুখে মাস্ক ছিল না। কয়েকজন চীনা শ্রমিক বিষয়টি দেখতে পেয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস্টার হো কে জানান।
মিস্টার হো জোবায়েরকে ডাক দেন। জোবায়ের ভয় পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এরপর মিস্টার হোসহ কয়েকজন চীনা শ্রমিক জুবায়েরকে মারধর করেন। এতে গুরত্বর আহত হন জুবায়ের। পরে তাকে উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে বাঙালি নির্মান শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। এ ঘটনার জেরে শ্রমিকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে কয়েকজন চীনা শ্রমিককে মারধর এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তাদের চারটি গাড়ি ও ব্যারাক ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সাদিয়া আফরোজ জানান, জুবায়ের নামে এক ব্যক্তিকে রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন জানান, জুবায়ের কাজ করার সময় মাস্ক পরে না থাকায় চীনা শ্রমিকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে মারেন। বরিশাল থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছেন। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।