বরিশাল ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
বরিশাল নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা কাজীপাড়া এলাকায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তামান্না আফরিন (১৫) নামক দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে ওই ছাত্রীর নানা হাফেজ মো. আলমগীরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। তামান্না রফিকুল ইসলাম টিপুর বড় মেয়ে এবং এআরএস বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়তো।
তামান্নার বাবার অভিযোগ, তামান্নাকে মারধর করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচার চালানো হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন মা জাকিয়া বেগম। তিনি বলছেন আত্মহত্যা।
জানা যায়, জাকিয়া বেগমের সঙ্গে প্রায় ৩ বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় রফিকুল ইসলাম টিপুর। এরপর থেকে তামান্না মায়ের সাথে নানাবাড়ি বসবাস করে আসছিলো।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি তামান্না রাতভর ফোনে কারো সাথে কথা বলতো। আবার কখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কিংবা ইউটিউব চালাতো। দিনের বেলায় ঘুমাতো। এই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ঘুম থেকে ওঠে সে। পরে বাসার দোতালায় ওঠে। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তামান্নার মা অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর মেয়ের খোঁজে দোতালায় গিয়ে দেখেন ফ্যানের সাথে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে তামান্না। ডাক চিৎকার দিলে পরিবারের অন্যান্যরা তাকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জাকিয়া বেগম জানান, তামান্না খুব ইমোশনাল ছিলো। রাত জেঁগে ফেসবুক ও ইউটিউব চালানোর কারণে গত শব-ই বরাতের রাতে রাগ করে তামান্নার হেডফোন ছিড়ে ফেলি। পরে আবার মেয়ের আবদারে হেডফোন কিনে দেই। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে তাকে কোনো বকাঝকা করা হয়নি, যার জন্য সে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিতে পারে। কি কারণে তামান্না আত্মহত্যা করেছে, তার সুনির্দিষ্ট কারণ দেখছেন না জাকিয়া বেগম।
তামান্নার বাবা রফিকুল ইসলাম টিপু বলেন, তামান্নাকে তার নানী ও মামা মিলে মারধর করে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচারণা চালিয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, তামান্নার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।