বাবার সাজানো অপহরণ মামলার ২ শিশু উদ্ধার - The Barisal

বাবার সাজানো অপহরণ মামলার ২ শিশু উদ্ধার

  • আপডেট টাইম : এপ্রিল ০৭ ২০২১, ০৭:৩৩
  • 766 বার পঠিত
বাবার সাজানো অপহরণ মামলার ২ শিশু উদ্ধার
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ভোলা প্রতিনিধি
পিতার দায়ের করা কথিত অপহরণ মামলার অপহৃত দুই সন্তানকে তিন বছর পর নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃতরা হলেন, ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর এলাকার ঈমাম হোসেন ইমন ( ১০) ও তার ভাই নিজাম উদ্দিন ( ২৫)। উদ্ধারপ্রাপ্তরা স্বীকার করেন, জমিজামার বিরোধে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পুরো ঘটনাই ছিল পিতার সাজানো মামলা । ভোলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট কোর্টে ঘটনার সত্যতা স্বীকারের পর মঙ্গলবার বিচারক ফরিদ আলম দুই পুত্রকে সেইভ কাস্টুরিতে পাঠান। একই সঙ্গে বাদি রফিকুল ইসলাম বেপারীকে আটক করে তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার নির্দেশ দেন পুলিশকে। ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর শিশু পুত্র ঈমন ও ২০১৮ সালের ২৫ মে বড় ছেলে নিজামউদ্দিনকে মারধর করে অপহরণ করা হয়ে উল্লেখ করে পৃথক সময়েই দুটি অপহরণ মামলা করেন ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের শ্যামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম বেপারী। দুটি মামলায় নিজ তিন ভাইসহ ৯ জনকে আসামী করা হয়। প্রথম মামলার আসামীরা ছিলেন মো. রহিম, মো. সেলিম, মো. আলমগীর, মো. আক্তার ও আলী আকবর।
পরের মামলায়ও প্রথম মামলার ৫ জনসহ আসামী করেন মো. ধলু, মো. জামাল ঢালি, মো. সেলিম ঢালি ও মো. হোসেনকে। রফিকুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় নিজ তিন ভাইসহ ৯জন বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার হন। মাসের পর মাস কারাগারে থাকেন এরা। মামলার এক পর্যায়ে দুটি অপহরণ ঘটনা সাজানো হতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আলম। তিনি বাদিকে জিজ্ঞাসাবাদসহ তার মোবাইল ফোন ট্রাকিং করার নির্দেশ দেন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে। আর এতেই বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিন বছর ৩ মাসে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধার করতে পারেন নি। পরে গত মাসে বিচারকের নির্দেশে পুলিশ মোবাইল ফোন ট্রাকিং করেন। নারায়নগঞ্জ এলাকায় শিশু ঈমান হোসেন ইমন ও নিজাম উদ্দিনের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর এসআই মিজানুর রহমান অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। সোমবার ভোলায় নিয়ে আসেন। আদালতকে শিশু ইমন জানায়, জমিজামর বিরোধের কারনে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তার বাবা প্রথমে তার নাম পাল্টে চট্টগ্রামের একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করান। একইভাবে নাম পরিবর্তন করে ভাই নিজাম চাকুরি নেন। পরে তারা ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে চলে আসেন। নারায়নগঞ্জেও ঈমনকে সিরাজ নামে একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হয়। তাদেও সঙ্গে তার পিতা মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। একই সঙ্গে কয়েক মাস পর পর দেখা করতেও যেতেন। আদালত এদের বক্তব্য রেকর্ড করেন। পরে এতের নিরাপদ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। রহস্যের জট উন্মোচনের জন্য আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে অভিযুক্ত আসামীদের মামলা থেকে রেহাই দেয়ার নির্দেশ দেন।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আন্দোলনের নামে অরাজকতার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বরিশালে শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পারাজাপুরে একই সময়ে বিএনপি ও যুবদলের দুই গ্রুপবরখাস্ত হচ্ছেন নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কহাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমিরপ্রাথমিকে আসছে বড় নিয়োগ, নেওয়া হবে ১৭ হাজার শিহাসিনার পক্ষে মামলায় লড়তে জেড আই খান পান্নার টনক নড়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষের / একসংগে ৪৬ ট্রসাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন, নির্যাতনও বাড়ছের‍্যাংকিংয়ে ফের দশে নেমে গেল বাংলাদেশ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করল ইসলামী আন্দোলজনগণ যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে: তআমি ইউনূস-হাসিনা দ্বন্দ্বের বলি: টিউলিপফিরছে ‘না’ ভোট