বরিশাল ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শাকিল মাহমুদ বাচ্চু ॥
এক সমায়ের অবহেলীত এক ফসলের জমিগুলো এখন যেন সোনর ডিম। অল্প সমায়ে এ অসম্ভব কাজকে সম্ভব করেছে গ্রামঞ্চলের মানুষের একত্রিত হয়ে গড়ে তোলা মৎস্য সমবয় সমিতি নামক মৎস্য চাষ প্রকল্প।বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলার বিলজুড়ে ময়লা অবর্জনার কারনে তেমন কোন ফসল হতো না। সেই জমিতে প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে মৎস্য চাষ করে শত শত মানুষ নিজেদের ভাগ্যবদল করেছেন মাৎস্য চাষাবাদ শেষে শুকনা মৌসুমে ধানের চাষাবাদ করেন সেকারনে জমিটি ১২ মাস চাষাবাদের কাজে ব্যবহার করে জমির মালিকরা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। একটি মহল ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের ক্ষমতা ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সাতলার পটিবাড়ি ৯০০ বিঘা জমির মাৎস্য সমবয় সমিতির কমিটি নষ্ট করে ঘেরটি তাদের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে নানা সড়যন্ত্র’র ফাঁদ তৈরী করে উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেছেন জমির একাধিক বৈাধ মালিকরা। জানাগেছে , এক সমায়ের অবহেলীত সাতলা জনপদে’র রুপকার উজিরপুর উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি সাতলা ইউপি প্রায়ত চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আজাদ পটিবাড়ি পতিত জমির একাধিক বৈাধ মালিকদের নিয়ে সমবয় সমিতি করে মৎস্য চাষ শুরু করেন প্রায় ১২ বছর আগে তারই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর মাৎস্য ঘেরের মাছ বিক্রি করে জমির পরিমান ও চাষাবাদে অংশিধারিত্বর পরিমান মতো লাভংশ টাকা তুলে দেয়া হয় জমির মালিকের হাতে সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকরা ঘেরটি পরিচালনা করেন।গত বছর সাতলার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আজাদ মারা গেলে তার পুত্র মশিউর মিয়া ও প্রিয় লাল মন্ডল সমিতি’র মাধ্যমে অন্যসব সদেস্যদের নিয়ে মৎস্য ঘেরটি পরিচালনা করছেন। ওই ঘেরের মধ্যে আব্দুল খালেক আজাদের জমির পরিমান বেশী হলেও মশিউর সকল সদেস্যদের মতো লাভের টাকা সমপরিমান ভাগ করে নেন। হঠাত করে একটি মহল ঘেরটি নিয়ে নানা সড়যন্ত্র শুরু করলেও ঘেরের জমির অধিকাংশ মালিকরা একাট্ট্রা হয়েছেন তাদের ঘেরটি রক্ষা করার জন্য। পটিবাড়ি মৎস্য ঘেরের জমির মালিক হরসিদ বৈাদ্ধ্য জানিয়েছেন, তার পতিত জমিতে মাছ চাষ করে সে লাভবান হয়েছেন একই ভাষ্য আতাহার বিশ্বাস নামক অপর এক জমির মালিকের। সুমনাথ হালদার নামক কৃষক বলেন তার জমিতে সমিতির মাধ্যমে তিনি মাৎস্য চাষ করতে চান মাছ বিক্রি’র পর ওই জমিতে বিনা খরচে ধান চাষের উপযোগী জমি পান সে কারনে তিনি লাভবান হচ্ছেন । তিনি অভিযোগ করেন একটি মহল তাদের মৎস্য ঘেরটি নিয়ে সড়যন্ত্র করছেন। মৎস্য সমিতির সাধারন সম্পাদক অধ্যাক্ষ প্রিয় লাল মন্ডল বলেন, ৪ শত সদেস্যর মাধ্যমে ঘেরের জমিতে মাছ চাষ করা হয় মাছের ঘেরের লাভ সকল সদেস্য সমান ভাগে অর্থ পায়। অনেক কৃষকই ঘেরের লাভের টাকায় শুকনো মৌসুমে ধান চাষ করছেন এবং নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন। একটি মহল ঘেরটির নিয়ন্ত্রন নিতে মরিয়া তার চাষীদের নানা ভাবে হুমকিও দিচ্ছে। প্রায়ত চেয়ারম্যান খালেক আজাদের পুত্র মশিউর রহমান বলেন, শতশত মানুষ পটিবাড়ি মাছের ঘের দিয়ে লাভবান হলেও একটি কুচক্রি মহল যাদের ওই ঘেরে কোন জমি নাই তারা নানা ধরনের সড়যন্ত্র করছেন ঘেরের সমিতি অকার্যকর করে ঘেরটি তাদের দখলে নিয়ে মাছ চাষ করতে। এ ঘেরের মধ্যে আমাদের প্রায়১০০ বিঘা জমি রয়েছে আমরাও জমির অন্যসব মালিকদের মতো সমান ভাগে লাভের টাকা ভাগ করে নেই সাতলার ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার লিটন ক্ষমতার দাপটে আমাদের ঘেরটি নিয়ে নানা ধরনের সড়যন্ত্র করছেন।#####