হিজলায় একসাথে ৩ নবজাতকের জন্ম, একইসঙ্গে মৃত্যু - The Barisal

হিজলায় একসাথে ৩ নবজাতকের জন্ম, একইসঙ্গে মৃত্যু

  • আপডেট টাইম : জুন ০৬ ২০২১, ০৭:৩৪
  • 697 বার পঠিত
হিজলায় একসাথে ৩ নবজাতকের জন্ম, একইসঙ্গে মৃত্যু
সংবাদটি শেয়ার করুন....

বরিশালের হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচার ছাড়াই একসঙ্গে তিন ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন সেলিনা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূ। কিন্তু জন্মের ঠিক সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর একইসঙ্গে ওই তিন নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৫ জুন) বিকেল ৪টার দিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে তিন ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন সেলিনা বেগম। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে তাদের মৃত্যু হয়।
রোববার (৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। নবজাতকদের মৃত্যুতে পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সেলিনা বেগম হিজলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুর গ্রামের দিনমজুর ফারুক ব্যাপারীর স্ত্রী।
গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আনিছ প্যাদা গৃহবধূর স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, সেলিনা বেগম ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। শনিবার দুপুর ২টার দিকে প্রসব বেদনা ওঠে। পরিবারের সদস্যরা হিজলা উপজেলা সদর রেমেডি নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যান। রেমিডি কর্তৃপক্ষ রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে দ্রুত বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। তাদের কাছে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার মতো টাকা না থাকায় অদূরে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে বিকেল ৪টার দিকে প্রথমে ছেলে জন্মগ্রহণ করে। এর ৫ মিনিট পরে আরেকটি এবং ১০ মিনিট পরই তৃতীয় ছেলেসন্তান জন্ম নেয়।
জন্মের পরপরই সেখানকার চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতকদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। গাড়ি ভাড়ার টাকা জোগাড় করতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা তিন নবজাতককে নিয়ে বরিশাল মেডিকেলে পৌঁছান। সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে একে একে তিন নবজাতকের মৃত্যু হয়। সকালে তাদের মরদেহ গ্রামে নিয়ে এসে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহরাজ হায়াত জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জন্ম নেয়া তিন নবজাতকের প্রত্যেকের শারীরিক ওজন ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় কম। তাছাড়া তাদের শ্বাসকষ্ট ছিল। যে কারণে জন্মের পরপরই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বরিশাল মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে তাদের মা আশঙ্কামুক্ত ছিলেন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার সাহা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই তিন নবজাতককে শিশু ওয়ার্ডে তাদের স্বজনরা ভর্তি করেন। এসময় নবজাতকদের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। ভর্তি করা প্রথম শিশুর ওজন ১ কেজি ১৪৫ গ্রাম, দ্বিতীয় শিশুর ১ কেজি ৪৫ গ্রাম এবং তৃতীয় শিশুটির ওজন ছিল ১ কেজি ৯০ গ্রাম।
তিনি বলেন, কম ওজন ও অপরিণত বয়সে ভূমিষ্ঠ হওয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার সক্ষমতা কম এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ছিল না। এ কারণে তাদের দ্রুত অবস্থার অবনতি ঘটে। শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও নার্সদের সব ধরনের চেষ্টা ব্যর্থ করে রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১১টা ৪০ মিনিটের মধ্যে ওই তিন নবজাতক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। যদি জন্মের পরপরই তাদের ভেন্টিলেটরের মধ্যে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেত তাহলে হয়তো বাঁচানো সম্ভব হতো।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আন্দোলনের নামে অরাজকতার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বরিশালে শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পারাজাপুরে একই সময়ে বিএনপি ও যুবদলের দুই গ্রুপবরখাস্ত হচ্ছেন নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কহাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমিরপ্রাথমিকে আসছে বড় নিয়োগ, নেওয়া হবে ১৭ হাজার শিহাসিনার পক্ষে মামলায় লড়তে জেড আই খান পান্নার টনক নড়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষের / একসংগে ৪৬ ট্রসাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন, নির্যাতনও বাড়ছের‍্যাংকিংয়ে ফের দশে নেমে গেল বাংলাদেশ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করল ইসলামী আন্দোলজনগণ যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে: তআমি ইউনূস-হাসিনা দ্বন্দ্বের বলি: টিউলিপফিরছে ‘না’ ভোট