শীঘ্রই উম্মোচিত হবে কুয়াকাটার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু - The Barisal

শীঘ্রই উম্মোচিত হবে কুয়াকাটার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু

  • আপডেট টাইম : ডিসেম্বর ১৯ ২০১৯, ১০:১৮
  • 1117 বার পঠিত
শীঘ্রই উম্মোচিত হবে কুয়াকাটার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু
সংবাদটি শেয়ার করুন....

উত্তম কুমার হাওলাদার কলাপাড়া প্রতিনিধি।। দৃশ্যমান হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অন্ধারমানিক নদীর ওপড় নির্মিত
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু। খুব শীঘ্রই এ সেতু ব্যবহার করে বিকল্প পথে পর্যটন নগরী কুয়কাটায় যেতে পারবে পর্যটকরা।

প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ সেতুটির কাজ ইতোমধ্যে প্রায় ৮৫ ভাগ শেষ হয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসে সেতুটি উন্মুক্ত করা হবে বলে এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর কলাপাড়া উপজেলার অন্ধারমানিক নদীর বলিয়াতলী পয়েন্টে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় নব্বই কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারন করে ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর। ১৩টি স্প্যানের উপর ৬৭৭ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি নির্ম কাজ প্রায় শেষের পথে।

স্থানীয় জানান, এ সেতুটির নির্মান কাজ শেষ হলে বিকল্প পথে পর্যটকদের সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে কুয়াকাটার গঙ্গামতি গমন সহজ হবে। সহজতর হবে সড়ক পথে পায়রা বন্দরের পন্য খালাস। এছাড়া উপজেলার বালিয়াতলী, লালুয়া, মিঠাগঞ্জ, ধুলাসার ও লতাচাপলী ইউনিয়নের লক্ষাধীক মানুষের জেলা ও উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজতর হবে।

কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন বিপু জানান, পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা যাওয়ার আরেকটি নতুন পথের দ্বার উম্মোচিত হতে যাচ্ছে। সেতুটি উম্মুক্ত হলে ব্যবসায়ীদের পন্য পরিবহন সহজ হবে। তাছাড়া পন্য পরিবহন খরচও কমে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বালিয়াতলীর ব্যবসায়ি নূরুল কবির ঝুনু বলেন, সেতুটি নির্মান কাজ শেষে উন্মুক্ত হলে পায়রা বন্দরের রামনাবাদ চ্যানেলসহ পর্যটনপল্লী গঙ্গামতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য অবলোকন পর্যটকদের জন্য সহজ হবে। আর বন্দর ভিত্তিক সম্ভাবনা ও পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাগব হবে।

বালিয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, সেতুটির নির্মান কাজ শেষ হলে বালিয়াতলীসহ পাচঁটি ইউনিয়নের লক্ষাধীক মানুষ অতি সহজেই উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাওয়া ও
রোগী নিয়ে খেয়া পারাপারের ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হবে না।

কন্সটাকশন ম্যানেজার ইন্দ্রজিৎ পাল জানান, এবছরের ৪ সেপ্টেম্বর সেতুটির নির্মাান কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। জোয়ার ভাটার সমস্যার কারনে সেতুটির নির্মান কাজ সম্পন্ন করতে দেরী হচ্ছে। তাই কাজ শেষ করার সময়সীমা আরো এক বছর বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল মান্নান জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিকূল আবহাওয়ায় কারনে যথাসময়ে নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়নি। ২০২০ সালের জুন মাসে সেতুটির নির্মান কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করেছেন এই কর্মকর্তা।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আন্দোলনের নামে অরাজকতার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বরিশালে শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পারাজাপুরে একই সময়ে বিএনপি ও যুবদলের দুই গ্রুপবরখাস্ত হচ্ছেন নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কহাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমিরপ্রাথমিকে আসছে বড় নিয়োগ, নেওয়া হবে ১৭ হাজার শিহাসিনার পক্ষে মামলায় লড়তে জেড আই খান পান্নার টনক নড়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষের / একসংগে ৪৬ ট্রসাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন, নির্যাতনও বাড়ছের‍্যাংকিংয়ে ফের দশে নেমে গেল বাংলাদেশ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করল ইসলামী আন্দোলজনগণ যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে: তআমি ইউনূস-হাসিনা দ্বন্দ্বের বলি: টিউলিপফিরছে ‘না’ ভোট