বরিশাল ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী শাহবাজ মিঞা শোভনকে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সোসাইটি (বিইউআইটিএস) থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে সংগঠনটি জরুরি নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে। একইদিনে ববির আরেকটি সামাজিক সংগঠন শোভনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ তোলে।
এর আগে শোভনের বিরুদ্ধে ববির মানব জমিন প্রতিনিধিকে হেনস্তার অভিযোগ এনে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিইউআইটিএস কর্তৃক জারিকৃত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনটির সাবেক গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহবাজ মিঞা শোভন দীর্ঘদিন যাবত সংগঠনটির নাম ব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করে আসছে। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও উপদেষ্টা মণ্ডলী তাকে একাধিকবার সতর্ক করলেও শোভন তার অসৎ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তাই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন থেকে শোভনের চাটুকারিতায় কেউ প্রলুব্ধ হলে বিইউটিএস দায়ভার নেবে না বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে ‘শেখাই’ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি সামাজিক সংগঠন শোভনের বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্যের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আছে এমন দাবি করে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। একই সঙ্গে ‘শেখাই’ কর্তৃক ২০১৯ সালে শোভনকে প্রদান করা শুভেচ্ছা স্মারক বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।
রোববার বিকালে সংগঠনটির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
শাহবাজ মিঞা শোভন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সোসাইটি ২০১৮ সালে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সেই সংগঠন আমাকে বহিষ্কার করে কিভাবে? অন্যদিকে সামাজিক সংগঠন ‘শেখাই’ আমাকে সম্মাননা দিয়েছে। আবার সেই সংগঠনই আমাকে বহিষ্কার করছে কিভাবে?
উল্লেখ্য, শাহবাজ মিঞা শোভন একটি জাতীয় পত্রিকার ববি প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলায় ক্যাম্পাসের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসের সামনে মানববন্ধন করে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে মানববন্ধন করে সেখানকার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনা জানিয়ে উপাচার্য বরাবর তিন দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।