বরিশাল ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালামসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসংক্রান্ত হাইকোর্টের পুরো রায়ের কার্যকারিতা চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ওসিসহ একাধিক কর্মকর্তার করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আবেদনকারীপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল দায়ের করতে বলা হয়েছে। আগামী ১ আগস্ট বিষয়টি আপিল বিষয়ে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের, চার শিশুকে গ্রেপ্তার, আটক রাখা এবং তাদের যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো নিয়ে বেসরকারি একটি টেলিভিশনে প্রচারিত খবর বিবেচনায় নিয়ে গত বছরের ৮ অক্টোবর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ১৩ জুন হাইকোর্ট রায় দেন।
ঘোষিত রায়ে সাময়িক বরখাস্ত করে বাকেরগঞ্জের ওসি আবুল কালাম, উপপরিদর্শক মো. বশির উদ্দিন খান, থানার শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রবেশন কর্মকর্তা আবু তাহেরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহকে ফৌজদারি এখতিয়ার থেকে প্রত্যাহার করে দেওয়ানি এখতিয়ারে দিতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। রায়ে চার শিশুর বিরুদ্ধে করা ওই মামলা বাতিল ঘোষণা করা হয়। গত ৭ অক্টোবর জামিন নামঞ্জুরের পর চার শিশুকে ধাক্কা দিয়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠানো চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।