বরিশালে হলি কেয়ার মাদক নিরাময় কেন্দ্রের বাথরুম থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার - The Barisal

বরিশালে হলি কেয়ার মাদক নিরাময় কেন্দ্রের বাথরুম থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

  • আপডেট টাইম : আগস্ট ২৭ ২০২১, ০৭:০৯
  • 784 বার পঠিত
বরিশালে হলি কেয়ার মাদক নিরাময় কেন্দ্রের বাথরুম থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
সংবাদটি শেয়ার করুন....

বরিশালের নবগ্রাম রোডে হলি কেয়ার মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চন্দন সরকার (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বজনদের দাবি, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে হলি কেয়ার মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের চতুর্থ তলার মেঝ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
চন্দন সরকার বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বড়পাইকা এলাকার চিত্তরঞ্জন সরকারের ছেলে।
কোতয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত ওই যুবকের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহতের মামা নিবাস মহুরী বলেন, আমার ভাগনে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে আসতে চায়নি। সে বলেছিল, এসব কেন্দ্রে অনেক টর্চার করা হয়। আমরা তার কথা শুনিনি। আগস্ট মাসের ৭ তারিখ হলি কেয়ারে দিয়ে গিয়েছি। তখন কোমরের বেল্টটি পর্যন্ত রাখতে দেয়নি। রশি বা গামছা তো দূরের কথা।
তাহলে হত্যায় গামছা পেল কীভাবে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ভোররাতে হলি কেয়ার থেকে মোবাইলে আমাকে জানানো হয় চন্দন আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমি তা বিশ্বাস করি না। আমার ভাগনেকে টর্চার করে মেরে ফেলা হয়েছে। এখানে এসে তো লাশও দেখছি না। আত্মহত্যা করলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করবে। কিন্তু এখানে লাশ উদ্ধার পুলিশ করেনি, হলি কেয়ারের লোকজনই বাথরুম থেকে লাশ ফ্লোরে এনে রেখেছে। এটি হত্যাকাণ্ড। আমি এই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
হলি কেয়ারের ব্যবস্থাপক মাইনুল হক তমাল দাবি করেন, হলি কেয়ার মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে মোট ২৮ জন রোগী ভর্তি ছিল। এর মধ্যে একজন ‘এক্সিডেন্টে’ মারা গেছে। এখন ২৭ জন রয়েছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। বিস্তারিত তারাই বলতে পারবেন।
হলি কেয়ারের চতুর্থ তলার দায়িত্বে থাকা সরোয়ার বলেন, রাত সোয়া ৩টার দিকে আমাকে ডেকে তোলা হয়, একজন টয়লেটে আত্মহত্যা করেছে বলে। উঠে দেখি চন্দন সরকার গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় থেকে নামিয়ে মেঝেতে এনে রাখি।
বাথরুমের উচ্চতায় কেউ আত্মহত্যা করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সরোয়ার বলেন, তা বলতে পারব না, তবে লাশ সেখান থেকে উদ্ধার করেছি।
এদিকে ভর্তি অন্যান্য রোগীরা জানান, ভলান্টিয়ারের দায়িত্বে থাকা সরোয়ার কথায় কথায় রোগীকে মারধর করেন। গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে চন্দন সরকারকে মারধর করা হয়। শেষ রাতে জানানো হয়, তিনি মারা গেছেন।
অভিযুক্ত সরোয়ার এ বিষয়ে বলেন, গতকাল রাতে চন্দন সরকার পশ্চিম দিকে পা দিয়ে শুলে আরেক রোগী তারিকুল তা নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চন্দন তারিকুলকে ঘুষি মারেন। এ সময়ে চন্দনকে নিবৃত্ত করতে গিয়ে কয়েকটি ‘থাপ্পড়’ দিয়েছি। কিন্তু তাকে কোনো নির্যাতন করিনি।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আন্দোলনের নামে অরাজকতার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বরিশালে শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পারাজাপুরে একই সময়ে বিএনপি ও যুবদলের দুই গ্রুপবরখাস্ত হচ্ছেন নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কহাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমিরপ্রাথমিকে আসছে বড় নিয়োগ, নেওয়া হবে ১৭ হাজার শিহাসিনার পক্ষে মামলায় লড়তে জেড আই খান পান্নার টনক নড়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষের / একসংগে ৪৬ ট্রসাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন, নির্যাতনও বাড়ছের‍্যাংকিংয়ে ফের দশে নেমে গেল বাংলাদেশ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করল ইসলামী আন্দোলজনগণ যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে: তআমি ইউনূস-হাসিনা দ্বন্দ্বের বলি: টিউলিপফিরছে ‘না’ ভোট