বরিশাল ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
আলোচনাটা বেশ কিছু দিন ধরেই চলছিল। ছিল নানা গুঞ্জন। বাংলাদেশ এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করার আবেদন করতে যাচ্ছে আইসিসিতে—এমন গুঞ্জনও ছিল। আজ (মঙ্গলবার) সব খোলাসা হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভা শেষে। আইসিসি টুর্নামেন্টের নতুন ক্যালেন্ডারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনে যৌথভাবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আয়োজক হতে বিড করেছে বাংলাদেশ। এখানেই থেমে থাকেনি বিসিবি, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনেরও আবেদন করেছে। বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজনে পর্যাপ্ত স্টেডিয়াম নেই বাংলাদেশে। তাই যৌথভাবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বিড করতে হয়েছে বিসিবিকে। পাপন জানালেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুগ্মভাবে আবেদন করেছি। ওই বিশ্বকাপের জন্য যত স্টেডিয়াম দরকার, সেটা আমাদের নেই, দুটো দেশ মিলে করা যায়।’
ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়াম দরকার আরও বেশি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই যেখানে এককভাবে করা যাচ্ছে না, সেখানে ৫০ ওভারের বিশ্ব আসর আরও কঠিন বাংলাদেশের জন্য। তাই ওয়ানডে বিশ্বকাপ বিড করা হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘আর ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য আমরা তিনটা দেশ- বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান মিলে আবেদন করেছি। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি বা গ্যারান্টির দরকার ছিল। আনন্দের সঙ্গে শেয়ার করছি যে আমরা এই সংক্রান্ত অনুমতি নেওয়ার যে পত্র দরকার হয়, সেটার প্রথম পত্রটাই পেয়েছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। ওনার নিজের সই করা, এখানে যদি কোনও টুর্নামেন্ট হয়, তো সমস্ত দায়িত্ব নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এখানে অনেক দেশের কিন্তু এ ব্যাপারে সমস্যা হচ্ছে।’
১৯৮৭ বিশ্বকাপ পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে ভারত এবং ১৯৯৬ বিশ্বকাপ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা- এই তিন দেশ মিলে আয়োজন করেছিল। আর ২০১১ বিশ্বকাপে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশেও হয়েছে বেশ কিছু ম্যাচ। উপমহাদেশে হওয়া ১৯৮৭, ১৯৯৬ ও ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের কোনোটিই এককভাবে আয়োজিত হয়নি। তবে ২০২৩ সালে এককভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ করতে যাচ্ছে ভারতে।