বরিশাল ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন বলেছেন, র্যাব বাংলাদেশের সংবিধান, আইন ও বিধি অনুযায়ী কাজ করে।
বরগুনার পাথরঘাটায় জেলেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং উপকূলীয় জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা বিধানবিষয়ক মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে আজ রোববার দুপুরে বরগুনা পাথরঘাটায় যান র্যাব প্রধান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
আন্তর্জাতিক মহলে র্যাবের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে সাংবাদিকদের—এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব প্রধান বলেন, ‘আমরা যখন কাজ করি, আমাদের এই কার্যক্রম জুডিশিয়াল সিস্টেমে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করে থাকেন। থানা-পুলিশ এটা তদন্ত করে থাকে। আমরা কিন্তু তদন্ত করি না। এই তদন্তের পর যদি মামলা করার প্রয়োজন হয়, মামলা হয়ে যায়। সেই মামলার তদন্ত হয়। এরপর জুডিশিয়াল সিস্টেমে সেটা কোর্টে যায়। এরপর যাচাই-বাছাই হয়, তারপর সেই সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই আমাদের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়ে থাকে।’
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন বলেন, ‘আমাদের স্বাধীন মিডিয়া আছে, সুশীল সমাজ আছে—সব দিক থেকে র্যাবের কার্যক্রমের প্রতিটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই হয়। এখানে আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নেই। সবকিছু আইন এবং বিধির আলোকে সংগঠিত হচ্ছে।’
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর। যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা প্রদানের পর র্যাব প্রধান আজ প্রথম এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সামনে প্রতিক্রিয়া দিলেন।
র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বর্তমানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, র্যাবের বর্তমান ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মুস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. আনোয়ার লতিফ খান ও র্যাব–৭ এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।