বরিশাল ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. মিজানুর রহমান মিজানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উপজেলা শিক্ষা অফিসের দুর্নীতি নিয়ে দেয়া পোষ্ট ভাইরাল টক অবদ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। সোমবার রাত ৯ টা ৪৪ মিনিটে ও রাত ১০ টায় ২২ মিনিটের সময়ে ফেসবুকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দুর্নীতি নিয়ে আলাদা আলাদা দেয়া দুটি পোষ্ট শেয়ার ও কপি পেষ্টের মাধ্যমে মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। যা এখন উপজেলা শহরসহ সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে রয়েছে।
ফেসবুক পোষ্টে উপজেলা যুবলীগের ওই নেতা লেখেন, আজ (সোমবার) দশমিনায় নতুন প্রাইমারী (প্রাথমিক) স্কুলে ৫৩ জন শিক্ষকের বিল হয়েছে। প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা করে দশমিনা প্রাইমারী (প্রাথমিক) শিক্ষা অফিস নিয়েছে।
অপর একটি পোষ্ট তিনি লেখেন, আজ (সোমবার) দশমিনায় সদ্য জাতীয় করনকৃত ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিকট থেকে ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকার দুর্নীতি ও লুটপাট।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. মিজানুর রহমান মিজান বলেন, যে সব শিক্ষক দেশের (উপজেলা সদরের) তাদের থেকে ৩ লাখ ও যারা চরের তাদের থেকে ৪ লাখ করে মোট ৫৩ জনের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে টাকা নেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শিক্ষকদের কাছ থেকে আগে চেক রেখে দিয়েছেন। পরে চরবোরহানের মো. সোহাগ নামে এক শিক্ষকের মাধ্যমে জনতা ব্যাংক দশমিনা শাখা থেকে এসব টাকা উত্তোলন করেন। যার অডিও কল রেকডিং ও ভিডিও ওই যুবলীগ নেতার কাছে সংরক্ষিত আছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মু. জাহিদ উদ্দিন ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া পোষ্ট সম্পর্কে বলেন, আমি দেখেছি। আমি কোনও জবাবও লেখি নাই। এটার সাথে আমি ও আমার অফিস সংশ্লিষ্ট না।
পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ছাইয়াদউজ্জামান বলেন, আমার কাছে গতকালও একজন জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।