বরিশাল ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল থেকে রাত ন’টায় যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাসটি রওনার প্রস্ততি নিচ্ছিল। এসময় সাকুরা বাসটির ড্রাইভারের সিটে বসেন ১৬ বছরের কিশোর হেলপার। বাসের ইঞ্জিন স্ট্রাট দেয়ার পরপরই নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা চারটি অটো রিকসাকে চাপা দেয়। এতে চারটি ব্যাপারি চালিত অটো রিকসাই দুমড়ে মুচরে যায়। আহত হয় তিন অটো চালক। পুলিশ হেলপার জীবনসহ সাকুরা বাসটিকে আটক করেছে।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। আহতরা হচ্ছেন ব্যাটারিচালিত অটোর চালক মো. শাহরিয়ার, রতন ও মো. বেল্লাল। পরে বিকল্প বাসে যাত্রীদের ঢাকায় পৌছে দেয়া হয়।
সাকুরা বাসে থাকা যাত্রী মহসিন জানান রাত নটায় বাসটি রওনা দেবার কথা। কিন্তু কিছুক্ষণ বিলম্ব করে সোয়া নটার দিকে বাসটির ইঞ্জিন ষ্ট্রাট দেয়া হয়। কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রচন্ড ঝাকুনি লাগে। এরপরই বাসটি উল্টা পাল্টা চলতে থাকে। এতে ধাক্কা লেগে চারটি অটোরিকশা দুমরে মুচরে যায়। আহত হয় কয়েকজন। এরই মধ্যে বাইরে থেকে এক লোক লাফ দিয়ে বাসে উঠে ব্রেক করে থামায়।
জানা গেছে গাড়িটি রওনা দেবার প্রাক্কলে বাস ড্রাইভার চা খাচ্ছিল। এসময় হেলপার জীবন গাড়িটেক স্টান্ড থেকে বের করে রাস্তায় নেয়ার চেষ্টা করছিল। ইঞ্জিন স্ট্রাট দিয়েই সে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। চাপা দেয় চার ব্যাটারি চালিত অটোকে।
বরিশাল নগরীর রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মুকছেদুল আকন বলেন, আমাদের চারটি গাড়িকে চাপা দেওয়া হয়েছে। একজন চালককের পা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা গাড়ি আটকে দিয়েছি।
সাকুরা পরিবহণ বরিশাল কাউন্টারের ম্যানেজার আনিসুর রহমান বলেন, জীবন আমাদের কোর ষ্টাফ নয়। গাড়ির হেলপার বক্সে মালামাল উঠাচ্ছিলো এবং চালক সামনে চা পান করছিলেন। এ সময় বরিশাল এক্সপ্রেস নামের একটি পরিবহণের হেলপার গাড়িতে ওঠে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা একটি এসি বাসের ব্যবস্থা করেছি, যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, এ ঘটনায় হেলপার জীবনকে আটক করা হয়েছে। একই সাথে বাসটিকেও তারা তাদের হেফাজতে নিয়েছেন।