বরিশাল ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
বরিশাল শহরে বাড়ি নির্মাণের কাজ নিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে স্বামীর ‘ধস্তাধস্তি থামাতে গিয়ে’ এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফিশারি রোড এলাকায় দুই পক্ষের হাতাহাতির সময় ওই নারী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে সন্ধ্যায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। আতিয়া খানম ওরফে কণা (৪০) নামের ওই গৃহবধূ একই এলাকার বাসিন্দা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী।
গিয়াস উদ্দিনের অভিযোগ, মাথায় ইটের আঘাতে আহত হয়ে তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওই নারীর মাথায় কোনো আঘাতের চিহ্ন দৃশ্যমান ছিল না। তবে মস্তিষ্কের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়ে তাঁর মৃত্যু হতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।
গিয়াস উদ্দিন জানান ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফিশারি রোড এলাকায় তাঁর একটি জমি আছে। সেখানে বাড়ি করতে গিয়ে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেনের দুই ভাই হুমায়ুন কবির ও তৌহিদুল ইসলাম ওরফে মুন্নার সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয়। সুসম্পর্কের কারণে তিনি বাড়ি নির্মাণের যাবতীয় কাজে তাঁদের সহযোগিতা চান। সে অনুযায়ী কাজও চলছিল। কিন্তু গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে হঠাৎ করে তৌহিদুল ইসলাম তাঁকে (সেনাসদস্য) নানা বিষয় নিয়ে বকাঝকা শুরু করলে তাঁদের দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তৌহিদুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে তাঁর স্ত্রী আতিয়া খানমকে লক্ষ্য করে একটি ইট নিক্ষেপ করেন। এতে তাঁর স্ত্রীর মাথায় আঘাত লাগলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তিনি হত্যা মামলা করবেন বলে জানান।