দীর্ঘ ৫ বছর পর কলাপাড়া হাসপাতালে সিজার অপারেশন - The Barisal

দীর্ঘ ৫ বছর পর কলাপাড়া হাসপাতালে সিজার অপারেশন

  • আপডেট টাইম : ডিসেম্বর ২৭ ২০১৯, ০৯:৩২
  • 804 বার পঠিত
দীর্ঘ ৫ বছর পর কলাপাড়া হাসপাতালে সিজার অপারেশন
সংবাদটি শেয়ার করুন....

উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। দীর্ঘ ৫ বছর বেশি সময়ের পরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিজারিয়ান অপারেশন থিয়েটার চালু হয়েছে। এর ফলে কলাপাড়াসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার মানুষ সল্প খরচে সরকারি হাসপাতালে গর্ববতী নারী সিজারিয়ান সুবিধা পাবে। এখন আর ছুটতে হবে না জেলা ও বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে।

বুধবার রাত ১০ টার দিকে খুকুমনি নামের একজন প্রসুতি মায়ের সিজারের মাধ্যমে এ অপারেশন থিয়েটার চালু হয়েছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার জুনায়েদ হোসাইন খান লেলীনের তত্ত্বাবধানে অপারেশনটি পরিচালিত হয়। এতে
এ্যানেসথেসিয়া হিসেবে ছিলেন ডাক্তার মো.শাহিন হাওলাদার (তাহসান) ও ডাক্তার মো.আশ্রাফুল ইসলাম বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্রে জানা গেছে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার জুনায়েদ হোসাইন খান লেলীন বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি থাকা স্বত্তেও ডাক্তার সংকটের কারনে বহু বছর ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিল। মানুষ অসহায় হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকসহ জেলা ও বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে যেতে হতো। এখন থেকে এ হাসপাতালে সিজারসহ বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করা
হবে। তিনি আরো বলেন, সিজারের মাধ্যামে জন্ম নেয়া নবজাতক ও শিশু মা দুজনেই সুস্থ্য আছেন।

খুকুমনির খালা অরুনা বেগম বলেন, রোগীর আবস্থা খুবই খারপ ছিল। তখন ডাক্তার লেলীনের সরনাপন্ন হলে সে সিজারের কারার পরমর্শ দেয়। খুকুমনির স্বামী মোটরসাইকেল চালক সিজারের কথা শুনে দূচিন্তায় পরে যায়। সব কিছু খুলে বলার পার বুধবার রাত ১০ টার দিকে কলাপাড়া হাসপাতালে খুকুমনির সিজার সম্পন্ন হয়। নবজাতকের পিতা মো.জাকির হোসেন বলেন, হাসপাতালে সিজার করায় অনেক কম টাকা লেগেছে। এখানে সিজার করাতে না পারলে বরিশাল নিয়ে যেতে হতো। কম পক্ষে ৫০ হাজার টাকা খরচ হতো। এ সুবিধা চালু করায় এলাকার বহু মানুষ উপকৃত হবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর কলাপাড়া হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ডাক্তার মো. আবদুর রহিম। তখন থেকেই পুরোদমে সিজার কার্যক্রম চলছিল। অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তারের দায়িত্ব পালন করেন মো.আবদুল মতিন। ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল ডাক্তার আবদুর রহিম অন্যত্র বদলি হওয়ার পর থেকে এখানে
সিজার কার্যক্রম বন্ধ থাকে। দীর্ঘকাল ধরে হাসপাতালে একজন অ্যানেসথেসিয়া ও সিজারিয়ান ডাক্তার না থাকায় ওটি বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। বর্তমান সরকারের উদ্যেগে প্রতি উপজেলায় পর্যাপ্ত ডাক্তার নিয়োগ দেয়ায় সে সংকট এখন অনেকটা লাগব হয়েছে বলে এমটাই জানিয়েছেন হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আন্দোলনের নামে অরাজকতার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বরিশালে শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পারাজাপুরে একই সময়ে বিএনপি ও যুবদলের দুই গ্রুপবরখাস্ত হচ্ছেন নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কহাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমিরপ্রাথমিকে আসছে বড় নিয়োগ, নেওয়া হবে ১৭ হাজার শিহাসিনার পক্ষে মামলায় লড়তে জেড আই খান পান্নার টনক নড়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষের / একসংগে ৪৬ ট্রসাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন, নির্যাতনও বাড়ছের‍্যাংকিংয়ে ফের দশে নেমে গেল বাংলাদেশ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করল ইসলামী আন্দোলজনগণ যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে: তআমি ইউনূস-হাসিনা দ্বন্দ্বের বলি: টিউলিপফিরছে ‘না’ ভোট