বরিশাল ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ দুজনকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বরিশালের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন পিজিসিবির খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লক্ষ্মী নারায়ণ ভুঁয়া ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া গ্রিড উপকেন্দ্রের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মো. হানিফ হোসেন গাজী। লক্ষ্মী নারায়ণের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া গ্রামে এবং হানিফ হোসেনের বাড়ি বরিশাল নগরের কাজীপাড়া এলাকায়।
দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ কে এম নুরুউদ্দীন আহমেদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আরেক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তিনি হলেন পিজিসিবি খুলনার নিরাপত্তা পরিদর্শক (বর্তমানে ঢাকার রামপুরার আফতাব নগরের ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারে কর্মরত) মো. আনোয়ার হোসেন। রায় ঘোষণার সময় মামলার তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডিত দুজনকে রায় ঘোষণার পর বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্মী নারায়ণ ভুঁয়া বরিশাল গ্রিড সংরক্ষণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকার সময় পারস্পরিক যোগসাজশে ঠিকাদার মো. আতাউর রহমানের সই জাল করে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪৭ টাকা মূল্যের মালামাল আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় দুদকের বরিশাল জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মতিউর রহমান বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট তিনজনকে আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি মামলা করেন। ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়ে।