বরিশাল ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের মুসলিমপাড়া খালের ওপর নির্মিত বক্স কালভার্টটি বিগত তিন বছর পর্যন্ত ধ্বসে পরে রয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পরেছেন ওই ইউনিয়নের পাঁচগ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ও পাশ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদি ইউনিয়নের তিন গ্রামের বাসিন্দারা।
ভেঙেপরা বক্স কালভার্টটি অপসারণ না করায় এবং দীর্ঘদিনেও নতুন করে কালভার্ট নির্মাণ না হওয়ায় জনদুর্ভোগে ক্রমেই প্রকট আকার ধারন করেছে। ইতোমধ্যে ধ্বসে পরা কালভার্টের ওপর কাঠ বিছিয়ে চলাচল করতে গিয়ে একাধিক দুর্ঘটনার ঘটনা
ঘটেছে। ভূক্তভোগী এলাকাবাসী দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ বক্স কালভার্টটি অপসারণ করে নতুন করে নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় ১২ বছর পূর্বে বক্স কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। ২০২০ সালে বন্যার পানির চাঁপে কালভার্টের দুই পাশে সড়কের মাটি ভেঙ্গে পরে। সর্বশেষ ২০২১ সালে বন্যার পানির তোড়ে বক্স কালভার্টি ধ্বসে খালে পরে যায়। পাঁচ
গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র কালভার্টটি ধ্বসে পরায় চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রমতে, কয়েক বছর আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলজিইডি সহযোগিতায় ধ্বসে পরা কালর্ভাটের ওপর কাঠ বিছিয়ে দিয়ে বিকল্প হিসেবে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে কাঠের তৈরি বিকল্প সেতুর মাঝখানে ভেঙে পরেছে। দীর্ঘদিন থেকে বিকল্প সেতুর ওপর দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও এখন জনসাধারণের চলাচলই বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও বিকল্প কাঠের সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ মোটরসাইকেল চালকরা দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, এ রুটে চলাচল করছেন চরকাউয়াসহ পশ্চিম চরাদি, রানীরহাট, হলতাসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। এছাড়া কৃষিপণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলা শহর থেকে সময়মতো সার-বীজ ও কীটনাশক সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পরেছে। কাঁধে বহন করে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল মিয়া জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ বক্স কালভার্টটি ধ্বসে পরায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পরেছে ১১৩ নং চরকাউয়া মাতৃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকাউয়া আহমদিয়া সিনিয়র ফাজিল ও ডিগ্রী মাদ্রাসা, তোফায়েল আহমদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তিনি আরও বলেন, জেলা শহরের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ধ্বসে পরা
কালর্ভাটের ওপর নির্মিত বিকল্প কাঠের সেতু দিয়ে প্রতিদিন বিভাগীয় শহরে আসা-যাওয়া করেন। বর্তমানে অধিকঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি নির্মাণ হলে চরকাউয়া ইউনিয়নসহ আশেপাশের পাঁচ গ্রামের বাসিন্দাদের যোগাযোগ ব্যবস্থারর উন্নতি ঘটেবে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালের বন্যায় বক্স কালভার্টি খালের মধ্যে ধ্বসে পরার পর আমরা কাঠের তৈরি একটি বিকল্প সেতু নির্মান করে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ধ্বসে পরা বক্স কালর্ভাটটি অপসারনের পর নতুন করে সেতু নির্মানের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।