বরিশাল ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি ।। বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়ন পরিষদে দূর্ধর্ষ চুরি সংঘঠিত হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত অনুমান সাড়ে ৩ টার দিকে পরিষদে চুরি হয় বলে জানান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. হুমাউন। এ
সময় তার কক্ষ থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও বিভিন্ন কাগজপত্র, ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মো. রবিউল ইসলামের কক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও সচিব মো. আবুল কালামের কক্ষ থেকে পরিষদের গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি হয় বলে তিনি জানান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদের ভবন দীর্ঘদিন পর্যন্ত কোন প্রকার সংস্কার করা হয়নি। নির্মাণের সময় থেকে দড়জায় যে হুক লাগানো ছিলো তাতে মরিচা পরে অনেকটা নড়বরে হয়ে গেছে। সেই হুক গুলো ভেঙ্গেই ৩টি রুমের ভিতরে প্রবেশ করে চোর। এরকম একটি ভবনের রুমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. হুমাউন বিশেষ সালিশ-মিমাংশার একটি দলিলের মধ্যে ৬০ হাজার টাকা রেখে তিনি বাড়িতে গিয়েছেন। ওই টাকাটা নাকি গ্রাম উন্নয়নের জন্য তার ব্যক্তিগত তহবিলের ছিলো। তার রুমে ড্রয়ার ছিলো তবে তিনি তালা লাগাননি বলেও তিনি জানান। একইভাবে উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম ৫০ হাজার টাকা রেখে গেছেন তার রুমে যেখানে এমন কোন আসভাবপত্র নেই যাতে টাকা গুলো রেখে তালা লাগানো যায়। তার ভাষ্যমতে (উদ্যোক্তার) সে তার রুমের খোলা জায়গাই টাকা রেখে বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং যাবার সময় ১০/১৫ হাজার টাকা সাথে করে নিয়েছিলেন। চোর-ডাকাতের ভয়ে বাকি টাকা (৫০ হাজার) খোলা জায়গায় রেখে গিয়েছিলেন।
ইউনিয়ন পরিষদে দিন-রাত মিলিয়ে একজন চৌকিদার পাহাড়ার দায়িত্বে থাকার আইন থাকলেও এ ইউনিয়নে সেই আইন পালন করা হয় না বলেও জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. হুমাউন। উদয়কাঠি বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদ একই স্থানে প্রতিষ্ঠিত, ওই বাজারেও নেই কোন কমিটি এবং পাহাড়ার ব্যবস্থা। তবে পরিষদে চুরির পরে নড়েচরে বসেছেন পরিষদ কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা জানান কোন বিশেষ সময় হলে এই পরিষদ খোলা হয়। না হয় বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থাকে। বানারীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদের কোয়াটারসহ একই দিনে পৌর শহরের মধ্যে দিন-দুপুরে ৩টি চুরি ও বিভিন্ন স্থানে চুরির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।