বরিশাল ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
হার দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) শুরু করে ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দুই দলই পায় জয়ের স্বাদ। এবার মুখোমুখি লড়াইয়ে তৃতীয় জয়ের খোঁজে ছিল বরিশাল-চট্টগ্রাম। এই মিশনে সফলতা পেয়েছে বরিশাল। চট্টগ্রামকে ২৬ রানে হারিয়ে বিপিএলে দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেলো সাকিব আল হাসানের দল।
আজ চট্টগ্রামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইফতেখার আহমেদের অপরাজিত ফিফটিতে ভর করে ৭ উইকেটে ২০২ রান তোলে ফরচুন বরিশাল। বিপিএলের ৯ ম্যাচ শেষে যা সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জবাবে জিয়াউর রহমানের মারকুটে ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ১৭৬ রান তুলতে সমর্থ্য হয় চট্টগ্রাম।
২০৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৪৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৯ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান উসমান খান। আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও’দাউদ ২৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করেন। উন্মুখ চাঁদের সংগ্রহ ২১ বলে ১৬ রান।
দুই ব্যাটারের ধীরগতির ইনিংসেই কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম। এরপর আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহে ৪২ রান যোগ করেন জিয়াউর রহমান। ২১ বলে ২৮ রানে আফিফ আউট হলে ভাঙে এই জুটি। জিয়া ২৫ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক শুভাগত হোম।
ফরচুন বরিশালের সাকিব, খালেদ আহমেদ, কামরুল ইসলাম এবং করিম জানাত একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৩৩ রান তোলে বরিশাল। ১২ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান নিয়ে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দশের কোঠা পেরোতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ৩ বলে ২ বাউন্ডারিতে ৮ রান করে ফেরেন তিনি। এনামুল হক বিজয়ের সংগ্রহ ৩০ রান। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৫ রানে আউট হন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান আসে ইফতেখার আহমেদের ব্যাট থেকে। ২৬ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৭ রান করেন তিনি। ৩৩ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ রান করেন ইবরাহিম জাদরান। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কের কোঠা।
চট্টগ্রামের আবু জায়েদ রাহী ৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।