বরিশাল ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
ফরিদপুরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে আগুনে পুড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স থেকে সাতজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন নারী, দুজন পুরুষ ও দুজন শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম। চিকিৎসাদীণ অবস্থায় মারা গেছেন এম্বুলেন্সের চালকও।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গার চান্দ্রা ইউনিয়নের মালিগ্রাম ফ্লাইওভার এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ওই অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরে যায়।
মাদারীপুর হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মালিগ্রাম ফ্লাইওভার এলাকায় এসে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় অ্যাম্বুলেন্সের সামনে অংশটি ফ্লাইওভারের রেলিং এ গিয়ে আঘাত লাগে। এর ফলে অ্যাম্বুলেন্সে বিস্ফোরণ থেকে আগুন ধরে যায়। অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে সাতজন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন বোয়ালমারীর গুনবাহা ইউনিয়নের ফেলানগর গ্রামের আজিজার স্ত্রী তসলিমা বেগম (৫০), তাঁদের মেয়ে বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়নে মাইট কুমড়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীরের স্ত্রী কমলা (৩০), কমলার তিন সন্তান আরিফ (১২), হাসিব (১০) ও আফসা (১) এবং সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মাহমুদের স্ত্রী বিউটি (২৬) ও বিউটির ছেলে মেহেদী (১০)। বিউটির স্বামী মাহমুদ রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসের সার্জেন্ট পদে কর্মরত। এদিকে ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক মৃদুল মালো (২৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।