বরিশাল ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশে অংশ নেওয়া বরিশাল দক্ষিণ জেলার মিছিলে বিশৃঙ্খলা। ছবি: সংগৃহীতরাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশে অংশ নেওয়া বরিশাল দক্ষিণ জেলার মিছিলে বিশৃঙ্খলা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশে অংশ নেওয়া বরিশাল দক্ষিণ জেলার মিছিলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহিন মিছিলের সামনে থাকা কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহর ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে তাকে থাপ্পড় দিতে উদ্যত হলে মিছিলে থাকা নেতা কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বেলা পৌনে ১২টায় আরামবাগের ফকিরাপুল সংলগ্ন এলাকায় এ বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী বরিশাল জেলা বিএনপির একাধিক নেতা জানান, মহাসমাবেশে যোগ দিতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের মিছিল রওনা দেয়। মিছিল চলাকালে দক্ষিণের সদস্যসচিব একাধিকবার বের হয়ে সামনে দাঁড়ান। মিছিলের অগ্রভাগে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ ব্যানারের মধ্যে সকলকে আসার তাগিদ দেন। কিন্তু কেউ কেউ আবার মিছিলের সামনে গিয়ে সেলফি তোলার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সদস্যসচিব শাহিন ফের ব্যানার থেকে বের হয়ে গেলে রহমাতুল্লাহও বের হয়ে মিছিলের সামনে দাঁড়ান।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির অন্তত দুই জন সদস্য জানান, রহমাতুল্লাহকে ধাক্কা দিয়ে মিছিল থেকে বের করার চেষ্ট করেন শাহিন। একপর্যায়ে থাপ্পড় দিতে উদ্যত হলে শাহিনের সঙ্গে রহমাতুল্লাহর হাতাহাতি হয়। ওই নেতারা বলেন, সদস্যসচিব শাহিন একক আধিপত্য বজায় রাখতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ওয়াহিদুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, রহমাতুল্লাহ কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে মেহমান হয়ে আমাদের সঙ্গে থাকবেন। কিন্তু সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনি মিছিলের সামনে যেতে চান। যে কারণে শাহিন ভাইয়ের সঙ্গে রহমাতুল্লাহর তর্কাতর্কি হয়েছে মাত্র। বিএনপি নেতা রহমাতুল্লাহর ওপর চড়াও হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রহমাতুল্লাহ যা করেছেন তাতে তার আরও শাস্তি হওয়া উচিত ছিল।
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সদর উপজেলা সদস্য আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ বলেন, বড় দলের বড় কর্মসূচি। সেখানে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। আমরা নিজেদের মধ্যে এই ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলবো। তবে রহমাতুল্লাহ দাবী করেন, তিনি মেহমান নন, বরং বরিশাল সদরের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহিন বলেন, ‘আরে নাহ, তেমন কিছুই হয়নি। মিছিলের লাইন ঠিক করতে গেলে ওরকম ধাক্কাধাক্কি হবেই। এটা তেমন কিছুই না।’