বরিশাল ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একজন পরিপূর্ণ ধ্রুপদী ধারার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট সাংবাদিক মীর মুজতবা আলীর জন্মদিন পালিত হয়েছে। এই গুণীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার রাতে খেয়ালী গ্র“প থিয়েটারের উদ্যোগে কেক কাটা, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন খেয়ালী গ্রুপ থিয়েটারের সভাপতি এ্যাড. সৈয়দ গোলাম মাসউদ বাবুল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল ঘোষ, সাবেক সভাপতি এ্যাড. এসএম ইকবাল, খেয়ালী গ্র“প থিয়েটারের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম চুন্নু, শব্দাবলীর সভাপতি সৈয়দ দুলাল, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সহ-সভাপতি মিন্টু কুমার কর, মীর মুজতবা আলীর পরিবারের সদস্য কবি সাহলে এম শেলী, অধ্যাপিকা টুনু রানী কর্মকার, খেয়ালীর সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ চক্রবর্তী, সংগঠক অপূর্ব রায়, গণশিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাঈদ
পান্থসহ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অন্যান্য কর্মীরা।
সাংবাদিক মীর মুজতবা আলী বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার চালতাবুনিয়া গ্রামে ১ জানুয়ারি, ১৯৩৪ সালেজন্মগ্রহণ করেন। শিল্পী সংসদে আবদুল মালেক খানের সংস্পর্শে এসে তিনি নাট্য ও আবৃত্তি শিল্পের গভীরে প্রবেশ করে শিল্পের ধ্র“পদী ধারাকে আত্মস্থ করতে সক্ষম হন। তিনি বরিশালের অন্যতম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘প্রান্তিক’ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।বরিশালের অন্যতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও খেয়ালীর তৎকালীন সভাপতি আক্কাস হোসেনের আহবানে ১৯৭৪ সালে মীর মজুতবা আলী খেয়ালীতে যোগদান করেন। খেয়ালীতে তাঁর অভিনীত প্রথম নাটক ‘অন্ধকারের নীচে সূর্য’। ১৯৭৭ সালে তিনি খেয়ালীর সভাপতি নির্বাচিত হন। বরিশালে তিনিই প্রথম রবীন্দ্র নাটক মঞ্চস্থ করেন। সাংবাদিক হিসেবে মীর মুজতবা আলী একজন অন্যতম লেখক ছিলেন। তিনি পত্রিকায় সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয় ও নিবন্ধ লিখতেন। কলম লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবেও তাঁর বেশ খ্যাতি ছিল। তিনি দৈনিক গণবাংলা ও দৈনিক জনপদের বরিশাল প্রতিনিধি ছিলেন। বরিশাল থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের পত্রিকা বিপ্লবী বাংলাদেশ, দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল ও দৈনিক আজকের বার্তার সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বরিশাল প্রেস ক্লাবের সদস্য হয়ে তিনি পাঁচবার কোষাধ্যক্ষ ও একবার সহ-সভাপতির আসন অলংকৃত করেন। ২০১৬ সালের ৮ জুন এই প্রতিভাবান কৃতী শিল্পী মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর স্মৃতি চীর অম্লান রাখার জন্য খেয়ালী গ্র“প থিয়েটার পরিচালিত আবৃত্তি ও অভিনয় শিক্ষা কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে ‘মীর মুজতবা আলী আবৃত্তি শিক্ষা কেন্দ্র’ রাখা হয়।