বরিশাল ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে জরুরি চিকিৎসার জন্য মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক। শেখ হাসিনার সরকার চিকিৎসার জন্য তার বিদেশ যাওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশের চিকিৎসকরা বলছেন, বিদেশি চিকিৎসা না পেলে দুইবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে।
৭৮ বছর বয়স্ক খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির প্রধান। তার বিরুদ্ধে ১৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশ রয়েছে, যদিও ২০২০ সাল থেকে তিনি গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া মূলত ‘ব্যাটলিং বেগমস’ নামে পরিচিত এবং তাদের মধ্যেকার তীব্র বিরোধই গত চার দশক ধরে ১৭ কোটি মানুষের দেশটির রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার তুর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক চিঠিতে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তিকে ‘রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখা হবে। এমতাবস্থায় আমি আপনার সরকারের কাছে তার মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য আবেদন করছি। এতে খালেদা জিয়া দেশের বাইরে গিয়ে তার জরুরি এবং বিশেষায়িত চিকিৎসা গ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।
গত ১লা নভেম্বর ওই চিঠিটি পাঠানো হয় এবং এএফপি সেটি পড়ে দেখেছে। বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ রয়েছে। গত মাসে তিন মার্কিন চিকিৎসক তার সার্জারি সম্পন্ন করেন। কিন্তু তার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য জার্মানিতে নিয়ে যেতে পরিবারের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার।