বরিশাল ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ মাদকসেবী পাষন্ড স্বামীর নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ২৫০ শয্যা বিশিস্ট পটুয়াখালী হাসপাতালে কাতরাচ্ছ দুই শিশু সন্তানের মা ফারজানা। এ ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার জৈনাকাঠী ইউনিয়নের শারিকখালী গ্রামে।
গুরুতর হাসপাতালে চিকিৎসারত ফারজানা জানায়, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে তার মাদকাশক্ত স্বামী সোহেল কাজী ৫০ হাজার টাকা বাপের বাড়ি থেকে এনে দেয়ার কথা বলে, এতে রাজি না হলে স্বামী সোহেল ঘরের দরজা আটকিয়ে প্রথমে পুতা দিয়ে বিভিন্ন শরীরে আঘাত করে। পরে একটি বাশের লাঠি দিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে ফুলাজখম করে মাটিতে মোয়ায়ে ফেলে একটি ধাড়ালো বডি দিয়ে খুন করে মেরে ফেলার চেষ্টা করলে চাচা শ্বশুর শাহ অঅলম কাজী দৌড়ে এসে ঘরের বেড়া ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তাকে উদ্ধার করে। পরদিন বুধবার সকালে স্বজনরা ফারজানাকে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ফারাজানা জানায়, ৫/৬ বছর আগে সোহেল কাজীর সাথে তার বিয়ে হয়। এ সময় তার দরিদ্র মা-বাবা নগদ ৫০ হাজার টাকা, দেড় ভরি সোনার অলংকা ও বিভিন্ন মালামাল দেয়। স্বামী সোহেল কোন কাজ করে না, মাঝে মধ্যে রিক্সা চালায়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুইটি শিশু সন্তান জন্ম নেয়। মেয়ে সাথী চার বছর, ছেলে জুবায়ের তার বয়স ১৩ মাস।
এ অবস্থায় স্বামী কাজকর্ম না করে বেশী সময় ধরে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক সেবন করে এবং বিভিন্ন সময় বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে বলে নির্যাতন করে আসছিল। ঘটনারদিন বাপের বাড়ি থেকে ৫০ হাজার এনে দিতে বলে। এতে রাজি না হলে তার উপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। সে খুন করে ফেলতো যদি চাচা শ্বশুড় দৌড়ে না আসতো বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরে দুই শিশু সন্তানের জননী ফারজানা। ফারজানা তার স্বামীর বিচার চায়।
এ ব্যাপারে দরিদ্র পিতা মাতা টাকার অভাবে মামলা মকদ্দমা করতে পারছে না। শিশু সন্তান দুটিকে রেখে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী বললেন ফারজানা। ফারজানার জনৈক এক স্বজন জানান, উকিলের সাথে পরামর্ম করে মামলা করার চেষ্টা চলছে।