বরিশাল ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের লোকের মর্যাদা আপনারা পান। রাষ্ট্রীয় একটা সম্মান থাকে এটা কতটা মিস করবেন?
উত্তরে মাশরাফি বলেন, ‘আমি আসলে যখন খেলোয়াড় হিসেবে শুরু করেছি তখনও এটা ফিল করিনি। যখন অধিনায়ক হয়েছি তখনও এটা মনে করিনি। আবার এখন আমার তো আরেকটা পরিচয় আমি সংসদ সদস্য, সেটাও আমি ফিল করিনি। কারণ লাল পাসপোর্ট নেইনি, আমি গাড়ি নেইনি, বাড়ি নেইনি-কিছুই নেইনি। সো আমি আসলে এসব থেকে সবসময় দূরে থাকতেই পছন্দ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অধিনায়ক হওয়ার আগ পর্যন্ত আমার সম্ভাব্য সবকিছুই কিন্তু ছিল এই চেয়ারকে ঘিরে। যে আমি যত ভালো করব বা যত কিছুই করবো এই চেয়ারটা ধীরে ধীরে কাছে আসতে থাকবে। যখনই আমি চেয়ারটা পেলাম তখনই ওটা শেষ লেখা হয়ে গেছে। তখন এই চেয়ার পাওয়ার কিন্তু আমার আর আকাঙ্ক্ষা নেই। চেয়ারটার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা উচিত আমার ইতিবাচকভাবে। এমন নয় যে এ প্রভাবটাকে অন্যভাবে ব্যবহার করবো- আমি জিনিসটাকে এভাবেই দেখি।’
প্রসঙ্গত, হুট করেই ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন মাশরাফি। বুধবার (৫ মার্চ) সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে বলে দেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেই তার অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচ।