বরিশাল ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
বরিশালের চাল ব্যবসায়ীদের দোকানগুলোতে শত শত বস্তা চাল। চাল রাখার জায়াগা না পেয়ে রাস্তার ফুটপাতেও কেউ কেউ সারি সারি বস্তা রেখেছে। কিন্তু তারপরও বরিশালে বেড়ে গেছে চালের দাম। ২৫ কেজির বস্তা প্রতি ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দাম নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারপরও মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ঘরে কয়েক মাসের চাল মজুদের জন্য। লাইন পর্যন্ত দিয়ে এরা চাল কিনছে।
গতকাল বাজার রোডের প্রায় প্রতিটি চালের দোকানে দেখা গেছে উপছে পড়া ভিড়। বাজার রোডে চালের সবচেয়ে বড় একটি এজেন্সিতে দেখা গেছে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন। এ দোকানে চাল রাখার জায়গা পর্যন্ত নেই। কিন্তু তারপরও দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মধ্যবিত্তদের বি আর ২৮ চাল ৯০০ থেকে ৯২০ টাকার স্থলে ১০৫০ থেকে ১০৮০ টাকা নেয়া হচ্ছে। সাধারণ মানের মিনিকেট ৯৮০ থেকে ১০৫০ ছিল। তা এখন সর্বনিম্ন ১১৫০ টাকা। আর ভালমানের মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা থেকে ১৩৫০ টাকায়। যা ছিল ১১০০ টাকা।
বাজার রোডের প্রতিটি দোকানে পর্যাপ্ত চালের মজুদ থাকা সত্তে¡ও অতিরিক্ত দাম নেয়া হচ্ছে। জানা গেছে করোনার কারণে পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার চালের সংকট সৃষ্টি হবে এমন আশংকায় ক্রেতারা চাহিদার বেশি চাল কিনছে। অপরদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত চাল কিনে রাখছে মুনাফার জন্য। আর এ সুযোগটাই নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বিকালে অভিযোগ পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বাজার রোডে অভিযানে নামে। এরপরপরই বন্ধ হয়ে যায় চালের দোকান। তবে সন্ধ্যার পর দোকানের একটি অংশ খুলে আবার চাল বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এবার ভিন্ন পন্থায়। কাউকে কোন চাল ক্রয়ের রশিদ না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।