আমরা সচেতন হব কবে - The Barisal

আমরা সচেতন হব কবে

  • আপডেট টাইম : মার্চ ১৯ ২০২০, ২১:৪৪
  • 797 বার পঠিত
আমরা সচেতন হব কবে
সংবাদটি শেয়ার করুন....

জিয়া শাহীন \ আর কবে সচেতন হব? বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনা। বাংলাদেশ হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিন টিভি, পত্র পত্রিকা গাঁ শিউরে ওঠার সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে। উন্নত দেশে শতশত মানুষ প্রতিদিন মারা যাচ্ছে। আর আমাদেরমত দেশে সবে শুরু হয়েছে। ছড়িয়ে পড়ছে দ্রæত। সরকারও দ্রæত ব্যবস্থা নিচ্ছে যাতে করোনা না ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমনকি ওয়াজ মাহফিল, সভা সমাবেশ, সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানও। স্কুল কলেজ বন্ধ করে বাচ্চাদের ঘরে রাখার নির্দেশ ফলাও করে প্রচার হচ্ছে সব গন মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নিজে বারবার বলছেন সন্তানদের ঘরে আটকে রাখতে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। গতকাল বরিশালের সবগুলো খেলার মাঠে ছিল উপছে পড়া ভিড়। আউটার স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, সরকারী বিএম কলেজ মাঠ, সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ মাঠ, বিএম স্কুলের মাঠে দল বেধে খেলছে ছেলেরা। বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বয়স্করাও বাদ যায়নি। সংঘবদ্ধভাবে হাটার ব্যায়াম চলছে একদিকে, অন্যদিকে মাঠের মাঝে বসে চলছে আড্ডা। করোনা এদের ভাবনায় আছে বলে মনে হয়না। কে এদের সচেতন করবে? শুধু সাধারণ পাবলিক বা শিশুদের দোষ দিয়ে লাভ কি? সচেতন হতে হবে ইমাম/ শিক্ষকদেরও। ১৮ মার্চ রাতে একটি জানাজায় কয়েকশত মানুষের সমাগম ঘটে বিএম স্কুল চত্তরে। সেখানে ইমাম সাহেব দ্রæত জানাজা শেষ না করে চালিয়ে যান দীর্ঘ ইসলামী বক্তৃতা। এই জানাজায় এক শিশুকে দেখা গেছে বেদম কাশতে। জানাজায় উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমজি ভ‚লু শেষ পর্যন্ত ঐ শিশুটিকে বাইরে বের করে দেন। এ শিশুটির পিতামাতার কোন ধারণা কি আছে তার শিশুটির কি হতে পারে? কারও মনে নেই করোনা নিয়ে সচেতনতা। তবে ভোররাতে এদেরকেই দেখা যায় থানকুনি পাতার জন্য ছুটতে, আবার লাইন দিয়ে অতিরিক্ত চাল কিনতে। ঘরের শিশুটিকে বা নিজেকে আটকে না রাখলে পুরো পরিবার এমনকি সমাজও বিপদে পড়তে যাচ্ছে সে আশংকাটুকু এখনও সৃষ্টি হয়নি। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে কি সব সময় সচেতনতা সৃষ্টি সম্ভব? নিজে না হলে? ভয়াবহ বিপদ ধেয়ে আসছে তা আমরা কেন বুঝতে পারছি না? চিকি]সা করবে কে? যার কোন ঔষধ বের হয়নি সেই রোগ মহামারি আকার ধারণ করছে। চিকিৎসকরাও ঘরে চিকিৎসা বন্ধ করে ঘরে উঠতে শুরু করেছেন। এমন অবস্থায় সচেতনাই পারে আমাদের বাঁচাতে। আসলে নিজের পরিবারের বিপদ না হলে বিপদ কি তা অনুধাবন করা বোধহয় সম্ভব না। আর নিজের পরিবারের বিপদ আমরা নিজেরাই ডেকে আনছি। এখনই সচেতন না হলে সামনে ভয়ংকর দিন সমাগত- এটি নিজে বুঝতে হবে, অপরকেও বোঝাতে হবে। এখনই সময় সন্তানদের ঘরে আটকে রাখার। সন্তানের লাশ বহন পিতার কাছে কতটা ভারি- তা যে বহন না করেছে সে বুঝবে না। আবার পরিবারের সক্ষম মানুষটি হারানো ভয়াবহতা পরিবারকে ছাড়খার করে দেয় তা কি কাউকে শিখাতে হয়? তবে সচেতনতা শিখতে হবে। এবং তা এখনিই।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আন্দোলনের নামে অরাজকতার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বরিশালে শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পারাজাপুরে একই সময়ে বিএনপি ও যুবদলের দুই গ্রুপবরখাস্ত হচ্ছেন নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কহাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমিরপ্রাথমিকে আসছে বড় নিয়োগ, নেওয়া হবে ১৭ হাজার শিহাসিনার পক্ষে মামলায় লড়তে জেড আই খান পান্নার টনক নড়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষের / একসংগে ৪৬ ট্রসাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন, নির্যাতনও বাড়ছের‍্যাংকিংয়ে ফের দশে নেমে গেল বাংলাদেশ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করল ইসলামী আন্দোলজনগণ যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে: তআমি ইউনূস-হাসিনা দ্বন্দ্বের বলি: টিউলিপফিরছে ‘না’ ভোট