ভোলা প্রতিনিধি।। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৩ সন্তানের জননী ফাহিমা বেগম নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী’র ছোট ভাই নুরে আলমকে আটক করেছে থানা পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে রামকেশব গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার নিহতের বাবা আব্দুল মন্নান বিশ্বাস বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এবং সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাতে ফাহিমা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করে তার স্বামী নজরুল ও তার পরিবার লোকজন পানিতে ফেলে দেয়। এবং পানিতে পড়ে গৃহবধু ফাহিমার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার চলায়। কিন্তু নিহত ফাহিমা বেগমের মুখের বাম পাশে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হলে স্বামী নজরুল পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। এসময় নজরুলের ছোট ভাই নুরে আলম কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল মন্নান বিশ্বাস বাদী হয়ে মেয়ের জামাই ও তার পরিবারকে আসামী করে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১০।
নিহত ফাহিমা বেগমের বাবা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের ঘরে ১টি ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তান রয়েছে। আমার জামাই মো. নজরুল ইসলাম বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে মারধর করতো। কিন্তু সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার মেয়ে সকল কষ্ট মেনে নেয়। সোমবার রাতে আমার মেয়েকে জামাই সহ তার পরিবার পিটিয়ে হত্যা করে। ফযরের আযানের পূর্বে আমার ছেলে আকতারকে জামাই নজরুল ফোন করে বলে তোর বোন পানিতে ডুবে মারা গেছে। এ খরব শুনে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের মুখের বাম পাশে ও গলায় বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন। ওরা আমার মেয়ে কে পিটিয়ে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয়। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. এনামুল হক জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী নজরুলের ছোট ভাইকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।