বরিশাল ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
স্টাফ রিপোর্টার / ছাত্রলীগ নিয়ে নানা সমালোচনার মাঝে বরিশালের বাকেরগঞ্জের একটি ইউনিয়নের ছাত্রলীগ যেভাবে করোনা রোগির সেবায় এগিয়ে এসেছে তা নিয়ে নেতৃবৃন্দ গর্ব করতেই পারে। করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া বরিশালের বাকেরগঞ্জের উত্তমপুর গ্রামের মামুন হাওলাদারের (৩০) জানাজ ও দাফনে যখন কেউ এগিয়ে এলো না তখন দায়িত্ব নিল স্থানীয় ছাক্রলীগ কমীরা। গোসল , জানাজা, দাফন সম্পন্ন করে কোয়ারেন্টিনে গেছেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের চার জন। সোমবার (২০ এপ্রিল) রাতে দাফন শেষে তাদের ব্যবহৃত পিপিই পুড়িয়ে দিয়ে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।দাড়িয়াল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমএ জব্বার বাবুল বলেন, নারায়ণগঞ্জে থাকার সময় মামুনের করোনার উপসর্গ দেখা দিলে সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি হয়। ১৯ এপ্রিল সকালে নমুনা সংগ্রহের পর ভয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় মামুন। ওই রাতেই নারায়ণগঞ্জের বাসায় তার মৃত্যু হয়। এরপর তার স্বজন ও এলাকাবাসী অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ বাকেরগঞ্জে পাঠিয়ে দেয়। সোমবার রাতে বাকেরগঞ্জে মরদেহ পৌঁছানোর পর তার স্বজনরা জানাজা ও দাফনে অনীহা প্রকাশ করে। এরপর মামুনের জানাজা ও দাফনে এগিয়ে আসে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারের নেতৃত্বে ৪ জন পিপিই পরে মামুনের গোসল থেকে শুরু করে জানাজা সম্পন্ন করে। জানাজায় ছাত্রলীগের ৪ সদস্যসহ মামুনের এক ভাই উপস্থিত ছিলেন। এরপর মামুনের পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করে ছাত্রলীগের ওই ৪ সদস্য। দাফন, জানাজার নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ হাওলাদার বলেন, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তের পরপরই আমরা উপজেলায় বলেছিলাম এ ধরনের রোগীর কেউ জানাজা ও দাফন না করলে আমরা করবো। এরপর থেকে আমরা তাদের জানাজা ও দাফনে প্রস্তুত ছিলাম। মামুনের মরদেহ আসার পর তার স্বজনদের গ্রহনে অনীহার খবর পেয়ে আমরা ওই মরদেহ গ্রহণ করি এবং জানাজা ও দাফনের সব ব্যবস্থা করে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে চলে আসি। আমাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।’