বরিশাল ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে আপদকালিন (মৎস্য সম্পদ রক্ষায়) ভিজিএফ’র চাল না দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্দন করেছে শতাধিক জেলেরা।
গতকাল ০৭ মে বৃহষ্পতিবার সকাল ০৯ টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্দন করেছে জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের সামুদাবাদ, যূগীর হাওলা, চর কাসেম, খালগোড়া, রাঙ্গাবালীসহ বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক দরিদ্র জেলে। মানববন্ধন শেষে জেলেদের মধ্যে কয়েকজন তালিকাভুক্ত কার্ডধারী জেলে প্রতিনিধি জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী এর কাছে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসক জেলেদের অভিযোগ মনোযোগসহকারে শোনেন এবং তাৎক্ষনিকভাবে তিনি রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাশফাকুর রহমানকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা দেন।
মানববন্ধন পালনকালে আবু জাফর গাজী (তালিকাভুক্তি জেলে কার্ড নং-১০৭৮৯৭০০৮৩০০১৫২৩
),আঃ রব ঘরামী ( কার্ড নং-১০৭৮৯৭০০৮৩০০১৩২৬) মোশারেফ ফরাজী (কার্ড নং-১০৭৮৯৭০০৮৩০০১৬২২) স্বপন মুন্সি (কার্ড নং-১০৭৯৯৭০০৮৩০০০১৮০) ও ফোরকান হাওলাদার জানান, আমরা প্রকৃত জেলে, নদী সাগরে মাছধরে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। দেশে মৎস্য সম্পদ ইলিশ রক্ষায় সরকার কর্তৃক দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধকালিন সময় তালিকাভুক্ত জেলেদের জন্য প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে দুইবার চাল বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। আমরা কার্ড পাওয়ার পর একবার মাত্র ভিজিএফ এর চাল পেয়েছি। গত ৪/৫ বছরে আমাদের কার্ডের বিপরিতে কোন চাল পাই নাই। ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে কার্ড নিয়ে চাল আনতে গেলে, তিনি কার্ড ভিজাইয়া পানি খাইতে বলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাছ করেন। তার ক্যাডার বাহিনী জাফর মীর ও কামাল মীরগং ভিজিএফ এর চাল চাইতে গেলে মারধর করে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়। যারা টাকা দিতে পারে তাদেরকে চাল দেয় বলে মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী জেলোরা জানান।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মামুন খান জানান, রাঙ্গাবালী ইউনিয়নে ২,৬৫০ জন ডিজিটাল কার্ডধারী জেলে রয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ পাই ১,৬৫০ জনের। এ অবস্থায় সবাইকে চাল দেয়া সম্ভব নয়। মারধরের কথা আমি জানি না।