বরিশাল ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমনে আক্রান্ত গৃহবধূ খাদিজা বেগম (৪২) একনাগারে ২৫ দিন সঙ্গহীন থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন আজ বৃহষ্পতিবার। নিশ্চিত
করেছেন পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্দ জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত ০৯ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার দুপুর ২টায় জেলা দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে গার্মেন্টস কর্মী মোঃ দুলাল হাওলাদার (৩২) করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরদিন ১০ এপ্রিল মৃত দুলাল হাওলাদারের বড় বোন খাদিজা বেগমসহ ৯ জনের নমুনা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে প্রেরন করা হয় এবং তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। উক্ত প্রেরিত নমুনা রিপোর্ট ১২ এপ্রিল পাওয়া যায়। এ ৯টি রিপোটর্টের মধ্যে খাদিজা বেগম (৪০) এর রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তাকে বাড়িতেই নিসঙ্গ করা হয়। ১৬ এপ্রিল পটুয়াখালী জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের নতুন ভবনে প্রতিষ্ঠানিক আইসোলেসনে
আনা হয়। মোবাইলে ফোনে তাকে চিকিৎসা দেয়ার এক পর্যায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ৪ মে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিস্ট আইসোলেসনে নেয়া হয়। দীর্ঘ ২৫ দিন সঙ্গহীন থাকার পর আজ ০৭ মে
বৃহষ্পতিবার ২৫০ শয্যা বিশিস্ট হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে ছাড় পত্র দেয়। প্রকাশ দুমকি নিবাসী সোবাহানের ছেলে দুলাল হাওলাদার গত ৪.৪.২০ ইং তারিখ নারায়নগঞ্জ থেকে তার নিজবাড়ি দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে আসে। গত ০৭.০৪.২০ইং তারিখ করোনা ভাইরাস সন্দেহে তার
নমুনা পটুয়াখালী হতে ঢাকায় প্রেরন করা হয়। নমুনা রিপোর্টে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। নিহত দুলালের বাড়িসহ পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করা হয়। খাদিজার শ্বশুড় বাড়ি পটুয়াখালী জেলা শহরের সরকারী
কলেজ রোড এলাকায়। তার স্বামীর নাম মঞ্জু। তার স্বামী ও সন্তান বর্তমানে ঢাকায় আছেন।এদিকে
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সেল সূত্রে জানাগেছে, পটুয়াখালী জেলায় এ পর্যন্ত ৫৪৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ৫৪জন। ৩০ জন আক্রান্ত এর মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকি ২৭ জন হোম ও প্রতিষ্ঠানিক আইসোলেসনে আছেন।