বরিশাল ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
স্টাফ রিপোর্টার / শেবাচিম হাসপাতালে এক রোগিকে ছাড়পত্র দেবারপর তার করুণ মৃতু্যতে ফুটে উঠেছে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার করুণ চিত্র। মৃত রোগির পরিবার হাসপাতালের চিকিৎসার যে বিবরণ তুলে ধরেছেন তা রীতিমত আতকে উঠারমত। বরগুনার আমতলী উপজেলার টিয়াখালি গ্রামের অনীল কুমারের ছেলে সুভাষ কতটা করুণভাবে মারা গেছেন তা চমকে ওঠারমত।
মৃতের পিতা জানান, কিছুদিন ধরে সুভাষের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩ই মে রবিবার বরিশাল শেবাচিমের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তারা। এ সময়ে সুভাষকে লক্ষ্মণ দেখে করোনা ইউনিটএ পাঠিয়ে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।ভর্তি হওয়ার পর ২ দিন অতিবাহিত হলেও তার ধারে কাছে যায়নি হাসপাতালের কোন চিকিৎসক।সুভাষের অসুস্থতার কথা বার বার বললেও নাম মাত্র কয়েকটি প্যারাসিট্যামল আর গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ধরিয়ে দিয়ে গা মোছার কথা বলতেন পিপিই পরিহিত কিছু নার্স।এ সময়ে রোগীর শ্বাসকষ্টের কথা জানালেও অক্সিজেন লাগাতেও এগিয়ে আসেনি কেউ। ঘুমানোর জন্য একটি বালিশ ও দেইনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রুমের ভিতরে নোংরা আবর্জনাও পরিস্কার করতে আসেনি কোন পরিচ্ছন্ন কর্মী।৫ই মে সুভাষের করোনা টেস্টের নমুনা পরীক্ষার জন্য নিলে পরেরদিন তার নেগেটিভ ফলাফল আসলে তাকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার কথা জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক। কিন্তু এ সময়েও সুভাষের তীব্র জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল।
করোনা নেগেটিভ ছাড়পত্র থাকার পরেও সুভাষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি না করে নামমাত্র ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বাড়িতে নিতে বললে সুভাষকে নিয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় তার পরিবারের সদস্যরা।
এ দিকে বাড়ির পথে রওয়ানা হওয়ার সময়ে সুভাষ তাদেরকে বারবার বলছিলো বাবা আমার বুকটা চেপে ধরে রেখেছে শ্বাস নিতে পারছিনা আমি। এ কথা শুনে চিকিৎসকের লিখে দেয়া ঔষধের উপরে আস্থাশীল গ্রামের অল্পশিক্ষিত সহজ সরল পিতা অনীল তাকে বলেন ডাক্তার বলেছে তুই এই ঔষধ খেলেই সুস্থ হয়ে যাবি। ৭ ই মে সকাল ১০ টার দিকে শ্বাসকষ্টের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে সুভাষ।সুত্র- বরিশাল ক্রাইম নিউজ