বরিশাল ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
অবশেষে মৃতু্যর কাছে হার মানল বরিশালের গৌরনদীর মাহফুজ। একটু ভাল থাকার আমায় ছুটে গিয়েছিলেন সৌদি আরব। কিন্তু ভয়াল করোনায় পরিবারের হাল ধরা এ যুবক চলে গেলেন না ফেরার দেশে। পবিত্র মক্কা নগরীর জ্যাবেলে নুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেনভ ছয়দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তিনি (মাহফুজ) বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কাছেমাবাদ গ্রামের মৃত সামছুল হক সরদারের পুত্র।
শুক্রবার সকালে সৌদি আরবে বসবাসরত মাহফুজের সহদর মাসুদ সরদার মোবাইল ফোনে জানান, কর্মের সুবাধে তারা তিন ভাই দীর্ঘদিন থেকে সৌদি আরবে বসবাস করছেন। এরমধ্যে তার মেঝ ভাই মাহফুজ সরদার দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে রয়েছেন। সেখানে তিনি ট্যাক্সির চালক ছিলেন। গত কয়েকদিন পূর্বে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যাথায় আক্রান্ত হয়ে মক্কা নগরীর জ্যাবেলে নুর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য যায়। রিপোর্টে তার করোনা পজেটিভ আসায় তাৎক্ষণিক তাকে ওই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে ছয়দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ৭ মে ভোরে সে মারা যায়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র ও ২ কন্যা রেখে গেছেন।
মৃত মাহফুজের প্রতিবেশী ও সৌদি প্রবাসী নজরুল ইসলাম জানান, মাহফুজ ছিলো সৌদি আরবে অবস্থানরত বরিশালবাসীর কাছে একটি পরিচিত মুখ। প্রবাসীরা অসুবিধায় পরলে খবর পেলেই নিঃস্বার্থভাবে মাহফুজ এগিয়ে আসতো সবার সহযোগিতার জন্য। এছাড়াও বরিশাল থেকে পবিত্র হজ পালন করতে আসা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সব হাজীদের সেবক হিসেবে মাহফুজের অগ্রণী ভূমিকা ছিলো।
নজরুল ইসলাম আ জানান, গত ৫ মে হাসপাতালে শষ্যাশয়ী মাহফুজের সাথে তার ভিডিও কলে শেষ কথা হয়েছে। তখন সে (মাহফুজ) শুধু বলেছে, ভাই আমার অবস্থা ভালো না, আমার সন্তানদের দিখে খেয়াল রেখো।
সূত্রমতে, বাংলাদেশ থেকে মৃত মাহফুজের ওয়ারিশগনের চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাওয়ার পর তাকে (মাহফুজকে) সরকারীভাবে দাফন করা হবে। বর্তমানে তার লাশ মক্কার জ্যাবেলে নুর হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।