বরিশাল ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
জিয়া শাহীন ॥বেশিরভাগ মার্কেট বন্ধ। তবে EASY সহ চকবাজার ও গীর্জামহল্লার বেশ কিছু বিপনি বিতান খোলা থাকায় সেগুলোতে ক্রমেই ভীড় বাড়ছে। সেইসাথে ভীড় বাড়ছে রাস্তার পাশে বসা হকরাদের কাছ থেকে পন্য কিনতেও। আর সেই সাথে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সম্ভাবনা। প্রতিটি স্থানেই লঙ্ঘিত হচ্ছে সামাজিক দুরত্ব বজায়। মাস্ক ব্যবহার না করারা সংখ্যাও এখন লক্ষণীয়। পরিস্থিতি যে ভয়াবহ দিকে যাচ্ছে, নিজে এবং সাথে নিয়ে আসা সন্তানদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন তা যেন বেমুলুম ভুলে গেছেন ক্রেতারা।
গতকাল দেখা গেল চকবাজরে প্রতিবছর ঈদ বা কোরবানীর সময়ে যেভাবে যানবাহন বন্ধ করা হয় সেভাইে বন্ধ করা হয়েছে। একটু ভিতরে ঢুকতেই চমকে উঠতে হল। খন্ড খন্ড জটলা একটু পরপরই। বেশিরভাগ দোকান বন্ধ থাকলেও গুটি কয়েক দোকান খুলেছে তাতেই উপছে পড়া ভীড়। গীর্জা মহল্লায় বেশ কিছু আধুনিক শপিংমল খুলেছে। খুলেছে EASY । ফলে মার্কে বন্ধ রাখার জন্য বিসিসি মেয়রের আহবান লংঘিত হচ্ছে। আর এভাবে প্রতিদিনই একটি দুটি করে দোকান বা শপিংমল খুলছে। বাড়ছে ভীড়। মনিটরিং বা ভ্রাম্যমান আদালতের কোন উপস্থিতি কাল দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে দেখা যায়নি।
মহসিন মার্কেটে প্রতি ঈদে শত কোটি টাকার বিকিকিনি হয়ে থাকে। এবার মহসিন মার্কেটের দোকানগুলো বন্ধ। হাতে গোনা ২/১টি দোকান খুললেও তাতে তেমন ক্রেতা দেখাযায়নি।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা শপিংমল খোলার জন্য শর্ত সাপেক্ষে সরকারী আদেশ থাকলেও নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এবং মালিক সমিতির অনুরোধে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, কুমিল্লা এবং বরিশালের শপিংমলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন স্ব স্ব মেয়রবৃন্দ। কিন্তু জীবনের চেয়ে ঈদে উৎসব যাদের কাছে বেশি তাদের সংখ্যা যে কম নয় তা গতকাল চকবাজারে গেলেই বোঝা যায়। নিজেই শুধু সংক্রমিতই হচ্ছেন না, বাড়ির সব সদস্য এবং প্রতিবেশিদের জন্যও বয়ে নিয়ে আসছেন মরণ ভাইরাস। এত আতঙ্ক, এত মৃত্যু, তারপরও আমাদের মাঝে যে সচেতনতা আসেনি তা ক্রমেই পরিস্কার হয়ে উঠেছে।